পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রবীন্দ্র-রচনাবলী নীরব হয়েছে কবির মহাকাব্য, বিলীন হয়েছে আত্মগৌরবে স্পর্ধিত জাতির ইতিহাস । আজ রাত্রে আমি সেই নক্ষত্ৰলোকের নিমেষহীন আলোর নিচে আমার লতাবিতানে বসে নমস্কার করি মহাকালকে । আমরতার আয়োজন শিশুর শিথিল মুষ্টিগত খেলার সামগ্রীর মতো ধুলায় পড়ে বাতাসে যাক উড়ে । আমি পেয়েছি ক্ষণে ক্ষণে অমৃতভরা মুহূর্তগুলিকে, তার সীমা কে বিচার করবে ? তার অপরিমেয় সত্য অযুত নিযুত বৎসরের নক্ষত্রের পরিধির মধ্যে ধরে না , কল্লাস্ত যখন তার সকল প্রদীপ নিবিয়ে স্বাক্টর রঙ্গমঞ্চ দেবে অন্ধকার করে তখনে। সে থাকবে প্রলয়ের নেপথ্যে কল্লাস্তরের প্রতীক্ষায় । বাইশ শুরু হতেই ও আমার সঙ্গ ধরেছে, ঐ একটা অনেক কালের বুড়ো, আমাতে মিশিয়ে আছে এক হয়ে । আজ আমি ওকে জানাচ্ছি— পৃথক হব আমরা ।