পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় 6 లిS হওয়া ! যা অতীত এবং যা আগামী তাদের বিষঃ বাসরশষ্য তুমি রচিয়াছ। ষা-কিছু बिद्रमां५ फूभि उiटनबहे वागै, बउ-किहू गउज cनाक्रन फूमि उiबहे अशिमबठा ” কিন্তু এ শরৎ আমাদের শরৎ একেবারেই নয়, আমাদের শরতের নীল চোখের পাত দেউলে-হওয়া যৌবনের চোখের জলে ভিজিয়া ওঠে নাই। আমার কাছে আমাদের শরং শিশুর মুর্তি ধরিয়া আসে। সে একেবারে নবীন। বর্ষার গর্ত হইতে এইমাত্র জন্ম লইয়া ধরণী:ধাত্রীর কোলে গুইয়া সে হাসিতেছে। তার কাচা দেহখানি ; সকালে শিউলিফুলের গন্ধটি সেই কচিগায়ের গন্ধের মতো । আকাশে আলোকে গাছেপালায় যা-কিছু রং দেখিতেছি সে তো প্রাণেরই রং, একেবারে তাজ । தி: প্রাণের একটি রং আছে। তা ইন্দ্ৰধন্থর গাঠ হইতে চুরি করা লাল নীল সবুজ হলদে প্রভৃতি কোনো বিশেষ রং নয় ; তা কোমলতার রং। সেই রং দেখিতে পাই ঘাসে পাতায়, আর দেখি মানুষের গায়ে । জন্তুর কঠিন চর্মের উপরে সেই প্রাণের রং ভালো করিয়া ফুটিয়া ওঠে নাই সেই লজ্জায় প্রকৃতি তাকে রং-বেরঙের লোমের ঢাকা দিয়া ঢাকিয়া রাধিয়াছে। মানুষের গা-টিকে প্রকৃতি অনাবৃত করিয়া চুম্বন করিতেছে। যাকে বাড়িতে হুইবে তাকে কড়া হইলে চলিবে না, প্রাণ সেইজন্য কোমল। প্রাণ জিনিসটা অপূর্ণতার মধ্যে পূর্ণতার ব্যঞ্জন । সেই ব্যঞ্জন যেই শেষ হইয়া যায় অর্থাৎ যখন যা আছে কেবলমাত্র তাই আছে, তার চেয়ে আরও-কিছুর আভাস নাই তখন । মৃত্যুতে সমস্তটা কড়া হইয় ওঠে, তখন লাল নীল সকল রকম রংই থাকিতে পারে কেবল প্রাণের রং থাকে না । শরতের রংটি প্রাণের রং । অর্থাৎ তাহা কাচ, বড়ো নরম। রৌত্রটি কাচা সোনা, সবুজটি কচি, নীলটি তাজা । এইজন্ত শরতে নাড়া দেয় আমাদের প্রাণকে, যেমন বর্ষায় নাড়া দেয় আমাদের ভিতরমহলের হৃদয়কে, যেমন বসন্তে নাড়া দেয় আমাদের বাহির-মহলের যৌবনকে। বলিতেছিলাম শরতের মধ্যে শিশুর ভাব। তার, এই-হাসি, এই-কার। সেই হাসিকান্নার মধ্যে কাৰ্ধকারণের গভীরতা নাই,তাহ এমনি হালকাভাবে আসে এবং যায় যে, কোথাও তার পায়ের দাগটুকু পড়ে না, জলের ঢেউয়ের উপরটাতে আলোছায়া ভাইবোনের মতে যেমন কেবলই দুরন্তপন করে অথচ কোনো চিহ্ন রাখে না। ছেলেদের হালিকায় প্রাণের জিনিস, হৃদয়ের জিনিল নহে। প্রাণ জিনিসটা ছিপের নৌকার মতো চুটিয়া চলে তাতে মাল বোঝাই নাই ; সেই চুটিয়া-চল প্রাণের হাসিকান্নার ভার কম। হৃদয় জিনিসটা বোঝাই নৌকা, সে ধরিয়া রাখে, ভরিয়া রাখে,—