পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী চাহ নাই কোনো ক্ষুদ্র ; ভিক্ষা লাগি বাড়াও নি আতুর অঞ্জলি। আছ জাগি। পরিপূর্ণতার তরে সর্ববাধাহীন যার লাগি নরদেব চিররাত্রিদিন। তপোমগ্ন, যার লাগি কবি বজরবে গেয়েছেন মহাগীত, মহাবীর সবে গিয়েছেন সংকটযাত্রায়, যার কাছে আরাম লজ্জিত শির নত করিয়াছে, মৃত্যু হুলিয়াছে ভয়, সেই বিধাতার শ্ৰেষ্ঠ দান আপনার পূর্ণ অধিকার চেয়েছ দেশের হয়ে অকুঠ আশায়। সত্যের ে গৌরব প্রদীপ্ত ভাষায়। অখণ্ড বিশ্বাসে। তোমার প্রার্থনা আজি বিধাতা কি শুনেছেন ? তাই উঠে বাজি জয়শন্ধ ৰ্তার ? তোমার দক্ষিণকরে তাই কি দিলেন আজি কঠোর আদরে দুঃখের দারুণ দীপ, আলোক যাহার জুলিয়াছে বিদ্ধ করি .দেশের আধার ধ্রুবতারকার মতো ? জয় তব জয়! কে আজি ফেলিবে অঞ, কে করিবে ভয়-- সত্যেরে করিবে খর্ব কোন কাপুরুষ। নিজেরে করিতে রক্ষা! কোন্ অমানুষ তোমার বেদনা হতে না পাইবে বল! মোছ রে দুর্বল চক্ষু, মোছ অক্সজল ৷৷ দেবতার দীপ হন্তে যে আসিল ভবে সেই রুদ্রদূতে, বলো, কোন রাজা কবে। পারে শাস্তি দিতে! বন্ধনশূল তার। চরণবন্দনা করি করে নমস্কার কারাগার করে অভ্যর্থনা। রুষ্ট রাহু। বিধাতার সূর্য-পানে বাড়াইয়া বাহু আপনি বিলুপ্ত হয় মুহুর্তেক-পরে। ছায়ার মতন! শাস্তি! শাস্তি তারি তরে। যে পারে না শান্তিভয়ে হইতে বাহির লঙিঘয়া নিজের গড়া মিথ্যার প্রাচীর কপট বেষ্টন, যে নপুংস কোনোদিন। চাহিয়া ধর্মের পানে নিভীক স্বাধীন অন্যায়েরে বলে নি অন্যায়, আপনার মনুষ্যত্ব বিধিদত্ত নিত্য-অধিকার যে নির্লজ্জ ভয়ে লোভে করে অস্বীকার সভামাঝে, দুর্গতির করে অহংকার,