পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় NAVO ২২ কল্যাণীয় রথীন্দ্রনাথ , अमूर्छानश्री [S७8१] ২৩ • কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবাসী, আশ্বিন ১৩৪৮ S. (e. や. ‘সম্বর্ধন-সঙ্গীত’ : জয় হােক তব জয়। রচনাকাল, মাঘ ১৩০৯ | ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে জগদীশচন্দ্ৰ বসুর (১৮৫৮-১৯৩৭) বিদেশ হইতে প্ৰত্যাবর্তনের পর কলিকাতায় “ভারত সঙ্গীত সমাজ” তাহাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে “সারস্বত সম্মিলন'-এর আয়োজন করেন (১৯ মাঘ ১৩০৯৷৷ ২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩)৷ সেই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই সংগীত রচনা করিয়াছিলেন। বিস্তারিত বিবরণের জন্য দ্রষ্টব্য, হেমেন্দ্ৰপ্ৰসাদ ঘোষ লিখিত সঙ্গীত সমাজ' প্ৰবন্ধ। প্রকাশ, মাসিক বসুমতী, জ্যৈষ্ঠ ১৩৬০। রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্ৰ’ ষষ্ঠ খণ্ডের গ্রন্থপরিচয়ের পরিশিষ্ট ১ অং প্রাসঙ্গিক বিবিধ তথ্যাবলি সংকলিত হইয়াছে। "সত্যের মন্দিরে তুমি’। রচনাকাল অপরিজ্ঞাত। অনুমান করা যাইতে পারে যে, জগদীশচন্দ্র যখন বিলাতে গবেষণারত ছিলেন (১৯০০-০২) ওই সময় রবীন্দ্রনাথ কবিতাটি রচনা করিয়া তাহার কাছে প্রেরণ করেন। ‘বন্দেমাতরম' পত্রিকায় অরবিন্দ ঘোষের (১৮৭২-১৯৫০) সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্ৰকাশ উপলক্ষে ইংরাজ সরকার তাহার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহমূলক মামলা আরম্ভ করায় রবীন্দ্রনাথ এই কবিতা রচনা করিয়া অরবিন্দর প্রতি র্তাহার। আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রচনাকাল ৭। ভাদ্র ১৩১৪ বঙ্গাব্দ। কামাখ্যাকান্ত রায় তাহার 'ব্ৰহ্মচর্যাশ্ৰম” স্মৃতিকথায় (প্রকাশ : ‘রবীন্দ্রবীক্ষা”সংকলন ৩৫, ২২শে শ্রাবণ ১৪০৬) লিখিয়াছেন, “বোধহয় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে একদিন গুরুদেব দেহলি থেকে প্রত্যুষে আমাদের ক্লাসে এলেন একখানা চিঠি হাতে ক’রে। পিছনে একটি দারোয়ান প্ৰতীক্ষা করছিল। এসেই তিনি বললেন : “একটি কবিতা তোমাদের শোনাচ্ছি, এটি সকালের ডাকেই পাঠিয়ে দেব।”-- এই বলে তিনি অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহাে নমস্কার’ কবিতাটি পড়ে শোনালেন। সে স্বর এখনও আমার কানে বাজছে। কী আবেগ, কী গান্তীর্য চিঠিটি দারোয়ান মারফত বােলপুর পোস্ট অফিসে পাঠিয়ে খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে আমাদের পড়াতে শুরু করলেন।” নন্দলাল বসুর (১৮৮৩-১৯৬৬) শান্তিনিকেতনে প্রথম আগমন উপলক্ষে রচিত। রচনাকাল ১২ বৈশাখ, ১৩২১। “প্রবাসী’ পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩২১ সংখ্যায় কবিতাটি প্রকাশের সঙ্গে সম্পাদক লেখেন—“নন্দলাল বসুর অভিনন্দন। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ অধ্যাপক ও ছাত্রকে লইয়া অচলায়তন নাটকের চমৎকার অভিনয় করিয়াছিলেন। এই উপলক্ষ্যে কলিকাতা হইতে বিদ্যালয়ের অনেক বন্ধু বোলপুর গিয়াছিলেন। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী শ্ৰীযুক্ত নন্দলাল বসু তাঁহাদের মধ্যে একজন। রবীন্দ্রনাথ তাহার মতো গুণী ব্যক্তিকে আশ্রমে পাইয়া তাহার যথোচিত আদর করেন।” নন্দলাল বসুর জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথের শেষ আশীর্বাদ। রচনাকাল ৩ ডিসেম্বর ১৯৪০। সুধীরচন্দ্র কর তাহার “শাস্তিনিকেতনের শিক্ষা ও সাধনা” (আশ্বিন ১৩৬০) গ্রন্থে কবিতাটি সংকলন করিয়েছেন। নন্দলাল বসুর পারলীেকিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বভারতী-প্রকাশিত পুস্তিকায় (১৫ বৈশাখ ১৩৭৩) কবিতাটি ‘রূপকার’ নামে সংকলিত হইয়াছে। চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড রুজের (১৮৭১-১৯৪০) শাস্তিনিকেতনে আগমন (১৯ এপ্রিল ১৯১৪) উপলক্ষে লিখিত। শান্তিনিকেতন হইতে তৎকালে প্ৰকাশিত “আশ্রম-সংবাদ’- এ প্রকাশিত সংবাদ নিম্নরূপ“শ্ৰীযুক্ত সি. এফ. এন্ড্রস বিগত ৬ই বৈশাখ সন্ধ্যায় ইংলন্ড হইতে প্রত্যাগত হইয়াছেন।