পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SS 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বরানগরে ললাটের লিখন'-এর নাট্যরূপ ‘বাঁশরি' পড়া হইয়াছিল। ইহার পর রবীন্দ্রনাথ 'ললাটের লিখন" মূল গল্পীরূপের পাণ্ডুলিপি প্রসঙ্গে একাধিক পত্রে নির্মলকুমারীকে যাহা 鲁 এখানে সেগুলি সংকলিত হইল।-- “সঙ্কটে পড়েছি। ভারতবর্ষ-ওয়ালা ফরমাস করেচে। সেই 'কপালের লিলাটের লিখন' গল্পটা অর্থাৎ 'বাঁশরীর পূর্বজন্মের লীলাটা তাদের আশ্বিনের সংখ্যার জন্যে। রাখী কলকাতায় গিয়ে পেটের দায়ে তাদের কাছ থেকে তিনশো টাকার চেক পকেটে করে আমাকে এসে বলে-- সেই গল্পটা দাও। আমি বাক্স, তোরঙ্গ, আলমারি, ডেস্ক, বালিশের নীচে, তক্তপোষের তলায়, ছেড়া কাগজের ঝুড়িতে খোজ করে পেলাম নাতিনশো টাকা পুনরুদগার করার মতো সাহস ও শক্তি নেই। এক একবার অত্যন্ত ঝাপসাভাবে মনে হচ্ছে খাতাটা হয়তো বা তোমার করকমলে আশ্রয় পেয়েছে- জোর গলায় বলতে পারাচিনে- কেননা স্মরণশক্তির পরে আমার শ্রদ্ধামাত্র নেই। কিন্তু যদি সেখানা তোমার করুণ ছায়ায় রক্ষা পেয়ে থাকে। তবে পত্রপাঠ মাত্র রেজিষ্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দিয়ে মান রক্ষা করো— পোস্টেজের খরচ কত লাগলো জািনবা মাত্র সেই তিনশো টাকা থেকে তা শোধ করে দেব-— এবং কাজ উদ্ধার হলেই খাতাটিকে পুনরায় তোমার হাতে সমর্পণ করে তার খাতাজন্ম সার্থক করে দেব।” द्रष्मांकन : 8 ख् $७8०, थक* : '(न*', ७७ उप् >७७४,१. 8०२-०७ “তোমাকে একটা জরুরি চিঠি লিখেছিলুম, সেটা কি এখনাে তুমি পাওনি ? “বাঁশরী' নাটকের গল্প আকারের প্রথম পাণ্ডুলিপিটা আছে কি তোমার হাতে ? তার দাম পকেটে করেছি। অথচ মাল চালান করতে পারছি না।” রচনাকাল : ২৬ আগস্ট ১৯৩৩, প্রকাশ : 'দেশ', ১৬ ভাদ্র ১৩৬৮, পৃ. ৪০৩ “কয়দিন তোমার চিঠি না পেয়ে আজ সকালে রেগেমেগে কলমের মুখটা তীক্ষ্ণ করছিলুম— এমন সময় তোমার সৌভাগ্যক্রমে চিঠি এল 'শশিভূষণ ভিলা' থেকে। মনে মনে তোমাকে যে সব সম্ভাষণ করেছিলুম সে আমি ফিরিয়ে নিচ্চি৷” রচনাকাল : ৩০ আগস্ট ১৯৩৩, প্রকাশ “দেশ, ১৬ ভাদ্র, ১৩৬৮, পৃ. ৪০৩ ললাটের লিখন’-এর পাণ্ডুলিপি রবীন্দ্রনাথ পাইয়াছিলেন কি না তাহা নিশ্চিতভাবে বলা যাইতেছে না; তবে এই কাহিনীর নূতন করিয়া লিখিত ‘পুনরুদ্ধার' নামে নাট্যরূপ ‘ভারতবর্ষ। পত্রিকায় “বাঁশরী’ নামে কাৰ্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ ১৩৪০ সংখ্যাগুলিতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ‘ললাটের লিখন’-এর একটি প্রতিলিপি রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত ছিল বলিয়া পূর্ব উল্লিখিত ‘রবীন্দ্রবীক্ষা’ পত্রিকায় প্রকাশ সম্ভবপর হয়। 5丽 [ প্ৰায়শ্চিত্ত ] প্রকাশ, ‘রবীন্দ্রবীক্ষা’। পঞ্চত্রিংশত্তম সংকলনে (২২ শ্রাবণ ১৪০৬)। কিশোরপাঠ্য এই গল্পটির “প্ৰায়শ্চিত্ত' শিরোনাম প্রকাশকালে প্রদত্ত হইয়াছে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক অনাথনাথ বসুর (১৯০০-৬১) সংগ্ৰহ হইতে এই গল্পের প্রতিলিপি তাঁহার কন্যা শ্ৰীসুনন্দ বসু দাস রবীন্দ্ৰভবন সংগ্রহশালায় দান করিয়াছেন। অনাথিনাথ যখন পাঠভবনের অধ্যাপক রূপে কর্মরত