পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী খররোঁত্রে রয়েছে উন্নত লয়ে নগ্ন কালো কালো শিলাস্তৃপ ভীষণ বিরূপ । সব সাস্তুনার শেষে সব পথ একেবারে মিলেছে শূন্যের অন্ধকারে ; ফিরিছ বিশ্রামহারা ঘুরে ঘুরে, খুজিছ কাছের বিশ্ব মুহূর্তে যা চলে গেল দূরে ; খুজিছ বুকের ধন, সে আর তো নেই, বুকের পাথর হল মুহূর্তেই । চিরচেনা ছিল চোখে চোখে, অকস্মাৎ মিলাল অপরিচিত লোকে । দেবতা যেখানে ছিল সেথা জালাইতে গেলে ধূপ, সেখানে বিদ্রুপ । সর্বশূন্যতার ধারে জীবনের পোড়ো ঘরে অবরুদ্ধ দ্বারে দাও নাড়া ; ভিতরে কে দিবে সাড়া ? মূৰ্ছাতুর আঁধারের উঠিছে নিশ্বাস । ভাঙা বিশ্বে পড়ে আছে ভেঙে-পড়া বিপুল বিশ্বাস । তার কাছে নত হয় শির চরম বেদনাশৈলে উধ্ব চূড় যাহার মন্দির। মনে হয়, বেদনার মহেশ্বরী _ তোমার জীবন ভরি দুষ্করতপস্যামগ্ন, মহাবিরহিণী মহাদুঃখে করিছেন ঋণী চিরদয়িতেরে । তোমারে সরালো শত ফেরে বিশ্ব হতে বৈরাগ্যের অন্তরাল।