পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক পার যদি এসো শব্দবিহীন পায়, চোখ টিপে ধোরো হঠাৎ পিছন থেকে । আকাশে চুলের গন্ধটি দিয়ে পাতি, এনো সচকিত কাকনের রিনিরিন, আনিয়ো মধুর স্বপ্নসম্বন রাতি, আনিয়ো গভীর আলস্তম্বন দিন । তোমাতে আমাতে মিলিত নিবিড় একা— স্থির জানন্দ, মৌন মাধুরী ধারা, যুদ্ধ প্রহর ভরিয়া তোমারে লখ । তব করতল মোর করতলে হারা । ১৪ জুন ১৯৩৫ চন্দননগর ছুটির লেখা এ লেখা মোর শূন্তৰীপের সৈকততীর, তাকিয়ে থাকে দৃষ্টি-অতীত পারের পানে । উদ্দেশহীন জোয়ার-ভাটায় অস্থির নীর শামুক ঝিনুক যা-খুশি তাই ভাসিয়ে আনে এ লেখা নয় বিরাট সভার শ্রোতার লাগি, রিক্ত ঘরে একলা এ যে দিন কাটাবার ; আটপহুরে কাপড়টা তার ধুলায় দাগি, বড়ো ঘরের নেমস্তম্নে নয় পাঠাবার। বয়ঃসন্ধিকালের যেন বালিকাটি, ভাবনাগুলো উড়ে-উড়ো আপনাভোলা । অযতনের সঙ্গী তাহার ধুলোমাটি, বাহির-পানে পথের দিকে দুয়ার খোলা । আলস্তে তার পা ছড়ানো মেঝের উপর, ললাটে তার রুক্ষ কেশের অবহেলা ।