পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক অন্তরতম আপন মনে যে কামনার চলেছি পিছুপিছু নহে সে বেশি কিছু । মরুভূমিতে করেছি আনাগোন— তৃষিত হিয়া চেয়েছে যাহা নহে সে হীরা সোনা, পর্ণপুটে একটু শুধু জল, উৎসতটে খেজুরবনে ক্ষণিক ছায়াতল । সেইটুকুতে বিরোধ ঘোচে জীবন মরণের, বিরাম জোটে প্রাস্ত চরণের । হাটের হাওয়া ধুলায় ভরপুর, তাহার কোলাহলের তলে একটুখানি স্থর সকল হতে দুর্লভ তা তবু সে নহে বেশি ; বৈশাখের তাপের শেষাশেষি আকাশ-চাওয়া শুষ্ক মাটি-’পরে হঠাৎ-ভেসে-আসা মেঘের ক্ষণকালের তরে এক পশলা বৃষ্টিবরিষন, দুঃস্বপন বক্ষে যবে শ্বাস নিরোধ করে জাগিয়ে-দেওয়া করুণ পরশন ; এইটুকুরই অভাব গুরুভার, না জেনে তবু ইহারই লাগি হৃদয়ে হাহাকার । অনেক দুরাশারে সাধনা করে পেয়েছি তবু ফেলিয়া গেছি তারে । ষে পাওয়া শুধু রক্তে নাচে, স্বপ্নে যাহা গাথা, ছন্দে যার হল আসন পাতা, খ্যাতিস্থতির পাষাণপটে রাখে না যাহা রেখা, ফাঙ্কনের সাবতারায় কাহিনী যার লেখা, সে ভাষা মোর বঁাশিই শুধু জানে— এই যা দান গিয়েছে মিশে গভীরতর প্রাণে,