পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী صا ه لا ভেদ করে যায় চলে । বৈরাগী ওই পাখির ভাষা মন কঁপিয়ে তোলে । আলোর সঙ্গে আকণশ যেথায় এক হয়ে যায় মিলে শুত্রে এবং নীলে তীর্থ আমার জেনেছি সেইখানে । অতল নীরবতার মাঝে অবগাহনমানে । আবার যখন বাঞ্চল, যেন প্রকাও এক চিল এক নিমেষে ছো মেরে নেয় সব আকাশের নীল, দিকে দিকে ঝাপটে বেড়ায় স্পধর্ণবেগের ডান, মানতে কোথাও চায় না কারো মানা, বারে বারে তড়িংশিখার চঞ্চু আঘাত হানে অদৃশু কোন পিঞ্জরটার কালো নিধেধপানে, আকাশে অার ঝড়ে আমার মনে সব-হারানো ছুটির মূর্তি গড়ে । তাই তো খবর পাই— শাস্তি সেও মুক্তি, আবার অশাস্তিও তাই । আলমোড়া רכ\}טאן< খেলা এই জগতের শক্ত মলিব সয় না একটু ক্রটি, যেমন নিত্য কাজের পালা তেমনি নিত্য ছুটি । বাতাসে তার ছেলেখেলা, আকাশে তার হাসি, সাগর জুড়ে গদগদ ভাষ বুদবুদে যায় ভাসি । ঝরনা ছোটে দূরের ডাকে পাথরগুলো ঠেলে— কাজের সঙ্গে নাচের খেয়াল কোথার থেকে পেলে । ওই হোখা শাল, পাচশো বছর মজীতে ওর ঢাকা— গভীরতায় অটল যেমন, চঞ্চলতfয় পাকা । মঙ্গতে ওর কঠোর শক্তি, বকুলি ওর পাতায়— ঝড়ের দিলে কি পাগলামি চাপে যে ওর মাথায় ।