পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ २०१ छत्रू भशांtश्द्र यक्रडूभिन्न भाऊ छणि८ङझिण । यथन गकाांग्र चककांब घनौडूङ श्झेब्र বাহিরের বাগানে কাকের ডাক থামিয়া গেল, তখন নক্ষত্রখচিত শাস্ত আকাশের দিকে চাহিয়া তাহার বাপমায়ের কথা মনে পড়িল এবং তখন দুই গও দিয়া অশ্রু বিগলিত হইয়া পড়িতে লাগিল । সেই রাত্রে বিনোদ স্বামীগৃহ ত্যাগ করিয়া গেল । কেহ তাহার খোেজও করিল না । তখন বিনোদ জানিত না যে, "প্রজনার্থং মহাভাগা স্ত্রী-জন্মের মহাভাগ্য সে লাভ করিয়াছে, তাহার স্বামীর পারলৌকিক সদগতি তাহার গর্তে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে। এই ঘটনার পর দশ বৎসর অতীত হইয়া গেল । ইতিমধ্যে বৈদ্যনাথের বৈষরিক অবস্থার প্রচুর উন্নতি হইয়াছে। এখন তিনি পল্লীগ্রাম ছাড়িয়া কলিকাতায় বৃহৎ বাড়ি কিনিয়া বাস করিতেছেন। কিন্তু তাহার বিষয় যতই বৃদ্ধি হইল বিষয়ের উত্তরাধিকারীর জন্য প্রাণ ততই ব্যাকুল হইয়া উঠিতে লাগিল । পরে পরে দুইবার বিবাহ করিলেন তাহাতে পুত্র না জন্সিয়া কেবলই কলহ জন্মিতে লাগিল। দৈবজ্ঞপণ্ডিতে সন্ন্যাসী-অবধূতে ঘর ভরিয়া গেল ; শিকড় মাদুলি জলপড়া এবং পেটেণ্ট ঔষধের বর্ষণ হইতে লাগিল। কালীঘাটে যত ছাগশিশু মরিল তাহার অস্থিভূপে তৈমুরলদের কঙ্কালজয়স্তম্ভ ধিক্‌কৃত হইতে পারিত ; কিন্তু তবু, কেবল গুটিকতক অস্থি ও অতি স্বল্প মাংসের একটি ক্ষুদ্রতম শিশুও বৈদ্যনাথের বিশাল প্রাসাদের প্রাস্তস্থান অধিকার করিয়া দেখা দিল না। তাহার অবর্তমানে পরের ছেলে কে তাহার অল্প খাইবে ইহাই ভাবিয়া অল্পে তাহার অরুচি জন্মিল । বৈদ্যনাথ আরো একটি স্ত্রী বিবাহ করিলেন ; কারণ সংসারে আশারও অস্ত নাই, কস্তাদায়গ্রস্তের কন্যারও শেষ নাই । দৈবজ্ঞেরা কোষ্ঠী দেখিয়া বলিল, ওই কস্তার পুত্রস্থানে ষেরূপ শুভযোগ দেখা যাইতেছে তাহাতে বৈদ্যনাথের ঘরে প্রজাবৃদ্ধির আর বিলম্ব নাই ; তাহার পরে ছয় বৎসর অতীত হইয়া গেল তথাপি পুত্রস্থানের শুভযোগ জালস্ত পরিত্যাগ করিলেন না । বৈদ্যনাথ নৈরাখে অবনত হইয়া পড়িলেন। অবশেষে শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতের পরামর্শে একটা প্রচুর ব্যয়সাধ্য যজ্ঞের আয়োজন করিলেন, তাহাতে বহুকাল ধরিয়া বহু ব্রাহ্মণের সেবা চলিতে লাগিল ।