পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ब्ल శివెవి দেশমল্লার যেন অশ্ৰগঙ্গোত্রীর কোন আদিনিবারের কলকল্লোল। এতে করে আমাদের চেতনা দেশকালের সীমা পার হয়ে নিজের চঞ্চল প্রাণধারাকে বিরাটের মধ্যে উপলব্ধি করে। কাব্যেও আমরা আমাদের চিত্তের এই আত্মাহুভূতিকে বিশুদ্ধ এবং মুক্তভাবে অথচ বিচিত্র আকারে পেতে চাই। কিন্তু কাব্যের প্রধান উপকরণ হল কথা । সে তো স্বরের মতো স্বপ্রকাশ নয় । কথা অর্থকে জানাচ্ছে । অতএব কাব্যে এই অর্থকে নিয়ে কারবার করতেই হবে। তাই গোড়ায় দরকার, এই অর্থটা যেন রসমূলক হয়। অর্থাৎ, সেটা এমন কিছু হয় যা স্বতই আমাদের মনে স্পন্দন সঞ্চার করে, যাকে আমরা বলি আবেগ । কিন্তু যেহেতু কথা জিনিসটা স্বপ্রকাশ নয়, এইজন্তে স্বরের মতে কথার সঙ্গে আমাদের চিত্তের সাধর্ম নেই। আমাদের চিত্ত বেগবান, কিন্তু কথা স্থির। এ প্রবন্ধের মারম্ভেই আমরা এই বিষয়টার আলোচনা করেছি। বলেছি, কথাকে বেগ দিয়ে আমাদের চিত্তের সামগ্রী করে তোলবার জন্তে ছন্দের দরকার । এই ছন্দের বাহনযোগে কথা কেবল যে দ্রুত আমাদের চিত্তে প্রবেশ করে তা নয়, তার স্পন্দনে নিজের ম্পন্দন যোগ করে দেয় । l এই স্পন্দনের যোগে শব্দের অর্থ যে কী অপরূপতা লাভ করে তা আগে থাকতে হিসাব করে বলা যায় না। সেইজন্তে কাব্যরচনা একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। তার বিষয়টা কবির মনে বাধা, কিন্তু কাব্যের লক্ষ্য হচ্ছে বিষয়কে অতিক্রম করা ; সেই বিষয়ের চেয়ে বেশিটুকুই হচ্ছে অনির্বচনীয়। ছন্দের গতি কথার মধ্য থেকে সেই অনির্বচনীয়কে জাগিয়ে তোলে। : ब्रखनौ लांछनघन, ঘন দেয়া-গরজন, রিমিঝিমি শবদে বরিযে । পালঙ্কে শয়ান রঙ্গে, বিগলিত চীর অঙ্গে, , নিন্দ যাই মনের হরিষে । বালার রাত্রে একটি মেয়ে বিছানায় শুয়ে ঘুমোচ্ছে, বিষয়টা এইমাত্র কিন্তু ছন্দ এই বিষয়টিকে আমাদের মনে কঁাপিয়ে তুলতেই এই মেয়ের ঘুমোনো ব্যাপারটি যেন निऊाकांलएक बांडवंब्र कट्द्र ७क श्रृंद्रश बाॉभांब्र श्ब्र ॐण-७बन-क्,ि जर्मन कांश्जांब আজ যে চার বছর ধরে এমন দুর্দান্ত প্রতাপে লড়াই করছে সেও এর তুলনায় তুচ্ছ এবং অনিত্য। ওই লড়াইয়ের তথ্যটাকে একদিন বহুকষ্টে ইতিহাসের বই থেকে মুখস্থ করে ছেলেদের একজামিন পাস করতে হবে ; কিন্তু “পালন্ধে শয়ান রজে, বিগলিত চীর