পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী "למס ‘তোমারি’, ‘ষখনি’ শব্দগুলির ই-কারকে বাংলা বানানে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করে লেখা হয়, সেই স্থযোগ অবলম্বন করে কোনো অলস কবি ওগুলোকে চার মাত্রার কোঠায় বলিয়ে ছন্দ ভরাট করেছেন কি না জানি নে, যদি করে থাকেন বাঙালি পাঠক তাকে শিরোপা দেবে না। ওদের উকিল তখন বৎসর’ ‘উৎসব’ ‘দিকৃপ্রাস্ত’ প্রভৃতি শব্দগুলির নজির দেখিয়ে তর্ক করবে। তার একমাত্র উত্তর এই যে, কান যেটাকে মেনে নিয়েছে কিম্বা মেনে নেয় নি, চোখের সাক্ষ্য নিয়ে কিম্বা বাধানিয়মের দোহাই দিয়ে সেখানে তর্ক তোলা অগ্রাহ । যে-কোনো কবি উপরের ছড়াটাকে অনায়ালে বদল করে লিখতে পারে— এখনি আসিতু তার দ্বারে, অমনি ফিরিয়া চলিলাম । চোখেও দেখি নি কতু তারে, কানেই শুনেছি তার নাম । ‘বৎসর’ ‘উৎসব’ প্রভৃতি শব্দ যদি তিন মাত্রার কোঠা পেরোতে গেলেই স্বভাবতই খুঁড়িয়ে পড়ত তা হলে তার স্বাভাবিক ওজন বাচিয়ে ছন্দ চালানো এতই দুঃসাধ্য হত যে, ধ্বনিকে এড়িয়ে অক্ষরগণনার আশ্রয়ে শেষে মান-বাচানো আবশ্যক হত । ওটা চলে বলেই চালানো হয়েছে, দায়ে পড়ে না। কেবল অক্ষর সাজিয়ে আচল রীতিকে ছন্দে চালানো যদি সম্ভব হত তা হলে খোকাবাবুকে কেবল লম্বা টুপি পরিয়ে দাদামশায় বলে চালানো অসাধ্য হত না । পৌষ Yoow, २ দিলীপকুমার আশ্বিনের উত্তরা’র ছন্দ সম্বন্ধে আমার দুই-একটি চিঠির খণ্ড ছাপিয়েছেন। সর্বশেষে যে নোটটুকু দিয়েছেন তার থেকে বোঝা গেল, আমি যে কথা বলতে চেয়েছি এখনো সেটা তার কাছে স্পষ্ট হয় নি । তিনি আমারই লেখার নজির তুলে দেখিয়েছেন যে, নিম্নলিখিত কবিতায় আমি ‘একেকটি শব্দটাকে চার মাত্রার ওজন দিয়েছি । ইচ্ছা করে অবিরত আপনার মনোমত গল্প লিখি একেকটি করে । roএ দিকে নীরেনবাবুর রচনায় “একটি কথা এতবার হয় কলুষিত পদটিতে একটি