পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्न्न 198S এই তর্কক্ষেত্রে আর-একটি আমার কৈফিয়ত দেবার আছে। অমূল্যবাবুর নালিশ এই যে, ছন্দের দৃষ্টাস্তে কোনো কোনো স্থলে দুই পঙক্তিকে মিলিয়ে আমি কবিতার এক পদ বলে চালিয়েছি । আমার বক্তব্য এই, লেখার পঙক্তি এবং ছন্দের পদ এক নয়। আমাদের হাটুর কাছে একটা জোড় আছে বলে আমরা প্রয়োজনমত পা মুড়ে বলতে পারি, তৎসত্ত্বেও গণনায় ওটাকে এক পা বলেই স্বীকার করি এবং অনুভব করে থাকি । নইলে চতুস্পদের কোঠায় পড়তে হয় । ছন্দেও ঠিক তাই— সকল বেলা কাটিয়া গেল, বিকাল নাহি যায় । অমূল্যবাৰু একে দুই চরণ বলেন, আমি বলি নে। এই দুটি ভাগকে নিয়েই ছন্দের সম্পূর্ণতা। যদি এমন হত— সকল বেলা কাটিয়া গেল, বকুলতলে আসন মেলো— তা হলে নিঃসংশয়ে একে দুই চরণ বলতুম | পুনর্বার বলি যে, যে বিরামস্থলে পৌছিয়ে পদ্যছন্দ অহরূপ ভাগে পুনরাবর্তন করে সেই পর্যস্ত এসে তবেই কোনটা কোন ছন্দ এবং তার মাত্রার পরিমাণ কত তার নির্ণয় সম্ভব, মাঝখানে কোনো একটা জোড়ের মুখে গণনা শেষ করা অসংগত। সংস্কৃত বা প্রাকৃত ছন্দশাস্ত্রে এই নিয়মেরই অমুসরণ করা হয়। দৃষ্টাস্ত— পৈঙ্গল-ছন্দঃপুত্ৰাণি ভংজিঅ মলঅচেলিবই শিবলিঅ গংজিঅ গুজরা। মালবরাজ মলঅগিরি লুক্তিআ পরিহরি কুংজরা । খুরাসাণ খুহিঅ রণমহ মুহিঅ লংঘিঅ সাআরা । হৰ্ম্মীর চলিঅ হারব পলিআ রিউগণহ কণঅরা ॥ গ্রন্থকার বলছেন ‘বিংশত্যক্ষরাণি’ এবং ‘পঞ্চবিংশতিমাত্রা: প্রতিপাদং দেয়াঃ’ । এর পদে পদে কুড়িটি অক্ষর ও পচিশটা মাত্রা, ছন্দের এই পরিচয় । अिफ्रश्न नङ् ििबज्र। পুণৰি তই কিজিজা ՀծկՀ8