পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8)ఱ রবীন্দ্র-রচনাবলী ছন্দরসিক হও তবে ছুরিকাচি ফেলে দিয়ে কানের পথ খোলসা রাখে। যেখান দিয়ে বঁাশি মরমে প্রবেশ করে। গীতার একটা শ্লোকের আরম্ভ এই— অপরং ভবতো জন্ম, ঠিক তার পরবর্তী শ্লোক— বহুনি মে ব্যতীতানি । দ্বিতীয়টির সমান ওজনে প্রথমটি যদি লিখতে হয় তা হলে লেখা উচিত ‘অপরিং ভাবতে জন্ম’ । কিন্তু, যারা এই ছন্দ বানিয়েছিলেন তারা ছান্দসিকের হাটে গিয়ে নিক্তি নিয়ে বলেন নি। আমি যখন ‘পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা লিখেছিলুম তখন জানতুম, কোনো কবির কানে খটকা লাগবে না, ছান্দলিকের কথা মনে ছিল না । ১৩ মাঘ ১৩৩৯ や ছন্দ নিয়ে যে কথাট তুলেছ সে সম্বন্ধে আমার বক্তব্যটা বলি । বাংলার উচ্চারণে হ্রস্বদীর্ঘ উচ্চারণভেদ নেই, সেইজন্তে বাংলাছন্দে সেটা চালাতে গেলে কৃত্রিমতা আসেই। | | | | | | হেলে হেসে হল যে অস্থির, | | | | | মেয়েটা বুঝি ব্রাহ্মণবস্তির। এটা জবরদস্তি । কিন্তু— হেসে কুটিকুটি এ কী দশা এর, এ মেয়েটি বুঝি রায়মশায়ের । এর মধ্যে কোনো অত্যাচার নেই। রায়মশায়ের চঞ্চল মেয়েটির কাহিনী যদি বলে যাই লোকের মিষ্টি লাগবে, কিন্তু দীৰ্ঘে হ্রস্বে পা ফেলে চলেন যিনি তার সঙ্গে বেশিক্ষণ আলাপ চলে না । যেটা একেবারে প্রকৃতিবিরুদ্ধ তার নৈপুণ্যে কিছুক্ষণ বাহবা দেওয়া চলে, তার সঙ্গে ঘরকরা চলে না । “জনগণমনঅধিনায়ক’— ওটা ষে গান । দ্বিতীয়ত, সকল প্রদেশের কাছে যথাসম্ভব সুগম করবার জন্তে যথাসাধ্য সংস্কৃত শক লাগিয়ে ওটাকে আমাদের পাড়া থেকে জয়দেবীর পল্লীতে চালান করে দেওয়া হয়েছে। বাংলা" শব্দে একৃসেন্ট দিয়ে বা