পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আসবে কোকিল, চন্দনাদের শুভাগমন হবে, মন্ত্র শুনতে পাবে না কেউ পাখির কলরবে । ডাকবে যখন টিয়ে বরকর্তা রবেন বলে কানে আঙুল দিয়ে ।” পিস্নি কিশোরগায়ের পুবের পাড়ায় বাড়ি, পিস্নি বুড়ি চলেছে গ্রাম ছাড়ি । একদিন তার অাদর ছিল, বয়স ছিল ষোলো, স্বামী মরতেই বাড়িতে বাস অসহ তার হল । অার-কোনো ঠাই হয়তো পাবে আর-কোনো এক বাসা, মনের মধ্যে আঁকড়ে থাকে অসম্ভবের অাশা | অনেক গেছে ক্ষয় হয়ে তার, সবাই দিল ফাকি, অল্প কিছু রয়েছে তার বাকি । তাই দিয়ে সে তুলল বেঁধে ছোট্ট বোঝাটাকে, জড়িয়ে কাথা অঁাকড়ে নিল কাখে । বঁ হাতে এক ঝুলি আছে, ঝুলিয়ে লিয়ে চলে, মাঝে মাঝে হাপিয়ে উঠে বলে ধূলির তলে । স্বধাই যবে, কোন দেশেতে বাবে মুখে ক্ষণেক চায় সকরুণ ভাবে ; কয় সে দ্বিধায়, “কী জানি ভাই, হয়তো আলমডাঙা, হয়তো সান্‌কিভাঙা, কিংবা যাব পাটলা হয়ে কাশী ।” গ্রাম-সুবাদে কোনকালে সে ছিল ৰে কণর মালি, মণিলালের হয় দিদিমা, চুনিলালের মামি— বলতে বলতে হঠাৎ সে যায় থামি, স্মরণে কার নাম ৰে নাহি মেলে ।