পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি ঠোটের কোণে মুচকি হাসি, চোখদুটি জলজলে, মুখ যেন তার পাকা জমিটি, হয় নি সে খলখলে । চওড়া কপাল, সামনে মাথায় বিরল চুলের টাক, গোফ জোড়াটার খ্যাতি ছিল, তাই নিয়ে তার জীক । দিন ফুরোত, কুলুঙ্গিতে প্রদীপ দ্বিত জালি, বেলের মালা হেঁকে যেত মোড়ের মাথায় মালী। চেয়ে রইতেম মুখের দিকে শাস্তশিষ্ট হয়ে, কাসর-ঘণ্টা উঠত বেজে গলির শিবালয়ে । সেই সেকালের সন্ধ্যা মোদের সন্ধ্যা ছিল সত্যি, দিন-ভাঙানো ইলেকটি কের হয়নিকে উৎপত্তি । ঘরের কোণে কোণে ছায়া, আঁধার বtড়ত ক্রমে, মিট্‌মিটে এক তেলের আলোয় গল্প উঠত জমে । শুরু হলে থামতে তারে দিতেম না তো ক্ষণেক, সত্যি মিথ্যে যা-খুশি তাই বানিয়ে যেতেন অনেক । ভূগোল হত উলটো-পালট, কাহিনী আজগুবি, মজা লাগত খুবই । গল্পটুকু দিচ্ছি, কিন্তু দেবার শক্তি নাই তো বলার ভাবে যে রঙটুকু মন আমাদের ছাইত । হুশিয়ারপুর পেরিয়ে গেল ছন্দোলির গাড়ি, দেড়টা রাতে সরহরোয়ায় দিল স্টেশন ছাড়ি । ভোর থাকতেই হয়ে গেল পার বুলদশর আমোরিসর্গীয় । পেরিয়ে যখন ফিরোজাবাদ এল যোগীনদীদার বিষম খিদে পেল । ঠোঙায় ভরা পকৌড়ি আর চলছে মটরভাজা এমন সময় হাজির এসে জৌলপুরের রাজা । পাচশো-সাতশে লোকলঙ্কর, বিশপচিশটা হাতি, মাখণর উপর বালয়-দেওয়া প্রকাও এক ছাতি । <කුළු