পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন \ම්ද ම් মহাপঞ্চক। যে উত্তর দিকে তার অধিষ্ঠান এখানে একদিন সেই দিককার জানলা খোলা হয়েছে । রাজা । ( বসিয়া পড়িয়া ) তবে তো আর আশা নেই। মহাপঞ্চক । আচার্য অদীনপুণ্য এ-পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে দিচ্ছেন না। তৃণাঞ্জন । তিনি জোর করে আমাদের ঠেকিয়ে রেখেছেন । রাজা। তবে তো মিথ্যা আমি সৈন্য জড়ো করতে বলে এলুম। দাও, দাও, অদীনপুণ্যকে এখনই নির্বাসিত করে দাও । মহাপঞ্চক । আগামী অমাবস্যায়— রাজা । না না, এখন তিথিনক্ষত্র দেখবার সময় নেই। বিপদ আসন্ন। সংকটের সময় আমি আমার রাজ-অধিকার খাটাতে পারি— শাস্ত্রে তার বিধান আছে । মহাপঞ্চক। ই আছে। কিন্তু আচার্য কে হবে ? রাজা। তুমি, তুমি। এখনই আমি তোমাকে আচার্যের পদে প্রতিষ্ঠিত করে দিলুম। দিকৃপালগণ সাক্ষী রইলেন, এই ব্রহ্মচারীরা সাক্ষী রইলেন। মহাপঞ্চক। অদীনপুণ্যকে কোথায় নির্বাসিত করতে চান ? রাজা । আয়তনের বাহিরে নয়— কী জানি যদি শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দেন । আমার পরামর্শ এই যে, আয়তনের প্রান্তে যে দর্ভকদের পাড়া আছে এ-কয়দিন সেইখানে তাকে বদ্ধ করে রেখো । জয়োত্তম। আচার্য অদীনপুণ্যকে দর্তকদের পাড়ায় ! তারা যে অস্ত্যজ পতিত জাতি । মহাপঞ্চক। যিনি স্পর্বাপূর্বক আচার লঙ্ঘন করেন, অনাচারীদের মধ্যে বাস করলেই তবে তার চোখ ফুটবে । মনে কোরো না আমার ভাই বলে পঞ্চককে ক্ষমা ৷ করব— তারও সেইখানে গতি । রাজা। দেখে মহাপঞ্চক, তোমার উপরই নির্ভর, যুদ্ধে জেতা চাই। আমার হার যদি হয় তবে সে তোমাদের অচলায়তনেরই অক্ষয় কলঙ্ক । মহাপঞ্চক । কোনো ভয় করবেন না । -》 )