পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●" も রবীন্দ্র-রচনাবলী দাদাঠাকুর । তার আর কিছু বাকি নেই। সুভদ্র । বাকি নেই ? দাদাঠাকুর। না। আমি সমস্ত চুরমার করে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছি। স্বভদ্র । একজটা দেবী— দাদাঠাকুর। একজটা দেবী ! উত্তরের দিকের দেয়ালটা ভাঙবামাত্রই একজটা দেবীর সঙ্গে আমাদের এমনি মিল হয়ে গেল যে, সে আর কোনোদিন জটা দুলিয়ে কাউকে ভয় দেখাবে না । এখন তাকে দেখলে মনে হবে সে আকাশের আলো— তার সমস্ত জটা আষাঢ়ের নবীন মেঘের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছে। স্বভদ্র । এখন আমি কী করব । পঞ্চক। এখন তুমি আছ ভাই আর আমি আছি। দুজনে মিলে কেবলই উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিমের সমস্ত দরজা-জানলাগুলো খুলে খুলে বেড়াব। (J উপাচার্য । ( প্রবেশ করিয়া ) তৃণ পাওয়া গেল না— কোথাও তৃণ পাওয়া গেল না । আচার্য। স্থতসোম, তুমি বুঝি তৃণ খুজেই বেড়াচ্ছিলে ? উপাচার্য । হা, ইন্দ্রতৃণ, সে তো কোথাও পাওয়া গেল না। হায় হায় ! এখন আমি করি কী ! এমন জায়গাতেও মানুষ বাস করে ! আচার্য। থাকৃ তোমার তৃণ। এ দিকে একবার চেয়ে দেখো । উপাচার্য। এ কী ! এ যে আমাদের গুরু ! এখানে ! এই দর্তকদের পাড়ায় ! এখন উপায় কী ! ওঁকে কোথায়— দর্ভকগণের অর্ঘ্য লইয়া প্রবেশ প্রথম দৰ্ভক। গোসাই, এই-সব তোমার জন্যে এনেছি। কেতনের মাসি পরশু পিঠে তৈরি করেছিল, তারি কিছু বাকি আছে – উপাচার্য । আরে আরে, সর্বনাশ করলে রে | করিস কী ! উনি যে আমাদের গুরু । দ্বিতীয় দৰ্ভক। তোমাদের গুরু আবার কোথায় ? এ তো আমাদের গোঁসাই। দাদাঠাকুর। দে ভাই, আর কিছু এনেছিস ? দ্বিতীয় দৰ্ভক। হা, জাম এনেছি। তৃতীয় দৰ্ভক। কিছু দই এনেছি। দাদাঠাকুর। সব এখানে রাখ। এসো ভাই পঞ্চক, এসে আচার্য অদীনপুণ্য—