পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৩

फूहै বোন | ৪৬৩ শশাঙ্ক বললে, “সেইদিনকার মতোই আজ থেকে আবার ঋণ শোধ করতে বসলুম। বা ডুবিয়েছি আবার তাকে টেনে তুলবই এই রইল কথা, শুনে রাখে । একদিন যেমন তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছিলে তেমনি আবার আমাকে বিশ্বাস করে।” শৰ্মিলা স্বামীর বুকের উপর মাথা রেখে বললে, “তুমিও আমাকে বিশ্বাস কোরো। কাজ বুঝিয়ে দিয়ে আমাকে, তৈরি করে নিয়ে আমাকে, তোমার কাজের যোগ্য যাতে হতে পারি সেই শিক্ষা আজ থেকে আমাকে দাও।” বাইরে থেকে আওয়াজ এল “চিঠি” । উমির হাতের অক্ষরে দুখানা চিঠি । একখানি শশাঙ্কের নামে— , আমি এখন বোম্বাইয়ের রাস্তায় । চলেছি বিলেতে। বাবার আদেশমত ডাক্তারি শিখে আসব । ছয়-সাত বছর লাগবার কথা । তোমাদের সংসারে এসে যা ভাঙচুর করে গেলুম ইতিমধ্যে কালের হাতে আপনিই তা জোড়া লাগবে। আমার জন্তে ভেবে না, তোমার জন্তই ভাবনা রইল মনে। শমিলার চিঠি— দিদি, শতসহস্র প্রণাম তোমার পায়ে । অজ্ঞানে অপরাধ করেছি, মাপ কোরো। যদি সেটা অপরাধ না হয় তবে তাই জেনেই সুখী হব । তার চেয়ে স্বধী হবার আশা রাখব না মনে । কিসে সুখ তাই বা নিশ্চিত কী জানি । আর, সুখ যদি না হয় তো নাই হল । ভুল করতে ভয় করি।