পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 ৮ ডিসেম্বর ১৯৩১ या se88 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী খাবার বেলায় অবশেষে GMCr CRCar rel gCri মেঝের 'পরে বুকে পড়ে খাতার পাতাটায় লাইন টেনে লিখছে শুধু- মাকালচন্দ্র রায় । পাথরাপিণ্ড সাগরতীরে পাথরপিণ্ড টু মারতে চায় কাকে, বুঝি আকাশটাকে । শান্ত আকাশ দেয় না কোনো জবাব, পাথরটা রিয়া উচিয়ে মাথা, এমনি সে তার স্বভাব । হাতের কাছেই আছে সমুদ্রটা, অহংকারে তারই সঙ্গে লাগত। যদি ওটা, এমনি চাপড় খেত, তাহার ফলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙেচুরে পড়ত অগাধ জলে । টু-ম্যারা এই ভঙ্গিখানা কোটি বছর থেকে ব্যঙ্গ করে কপালে তার কে দিল ওই ঐকে । পণ্ডিতেরা তার ইতিহাস বের করেছেন খুঁজি ; শুনি তাহা, কতক বুঝি, নাইবা কতক বুঝি । অনেক যুগের আগে একটা সে কোন পাগলা বাষ্প আগুন-ভরা রাগে মা ধরণীর বক্ষ হতে ছিনিয়ে বাধন-পাশ জ্যোতিষ্কদের উৎকৰ্ণপাড়ায় করতে গেল বাস । বিদ্রোহী সেই দুরাশা তার প্রবল শাসন-টানে আছাড় খেয়ে পড়লে ধরার পানে । লাগল কাহার শাপ, হারালো তার দুটোছুটি, হারালো তার তাপ । * দিনে দিনে কঠিন হয়ে ক্রমে আড়ষ্ট এক পাথর হয়ে কখন গেল জমে । আজকে যে ওর অন্ধ নয়ন, কাতর হয়ে চায় সম্মুখে কোন নিঠুর শূন্যতায় । অন্তজিত চীৎকার সে যেন, যন্ত্রণা নির্বাক, যে যুগ গেছে তার উদ্দেশে কণ্ঠহারার ডাক । আশুনি ছিল পাখায় যাহার। আজ মাটি-পিজারে RR CPNS GP VET OVSG varav RMN শোনার লাগি ব্যগ্ৰ তাহার ব্যৰ্থ বধিরতা হেরো-যাওয়া সে যৌবনের ভুলে-যাওয়া কথা ।