পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

ფოტკ} УbrВ ১। অনেকদিন অনেক সহ্য করলুম। শেষকালে যেদিন খুড়োরাজা খুশি হয়ে আমাকে প্রহরীশালার সর্দার করে দিলে- সেইদিন পথের মধ্যে দেখা আমার ছোটোশালীর সঙ্গে । জান 可r夺一 ২। জানি বৈকি। ঐ তোদের রূপমতী, খাসা মেয়ে রে ! তোদের ছড়া-কাটিয়ে তাকেই তো বলে মৃত্যুশেল । ১ । সে আমাকে দেখে বা পা দিয়ে মাটিতে এক লাথি মারলে, ধুলো উড়িয়ে দিলে, পায়ের মল কম ঝম করে উঠল- মুখ বাকিয়ে চলে গেল। আর সইল না । ৩ । হা হা হা হা ! রাঙা পায়ের এক ঘায়ে খুড়তুতো ইদুরের লেজ গোল কাটা ! ১ । দিলেম ফেলে আমার পাগড়ি প্রহরীশালার দ্বারে, চলে গেলেম উত্তরে মালখণ্ডে । খ্ৰীষ্মভোর ছাগল চরাই, শীতকালে রাজধানীতে নিয়ে আসি, কম্বল বিক্রি করি। পণ করেছি। যখন হাতে কিছু টাকা হবে, পাগড়িতে লাগাব সোনার পাড়- যাব আমার শ্যালীর বাড়িতে, সেই বা পায়ের লাথিটা সে ফিরিয়ে নেবে, তবে অন্য কথা । এই কথাই ভাবতে ভাবতে আসছিলেম ছাগলের পাল নিয়ে, যাচ্ছিলেম রাজধানীর দিকে । পথের মধ্যে একদল লোক ছাগলসুদ্ধ আমাকে হৈঃ হৈঃ শব্দে খেদিয়ে নিয়ে এল। এইখানে, বললে এই আমাদের রাজধানী এইখানে— এই উদয়পুরে । ২। মুঘু, মনে রাখিস, আজ থেকে এর নাম উদয়পুর নয়, কুমারপুর। ১ । মনে রাখা শক্ত হবে ভাই, এখানে আমার দাদাশ্বশুরের বাডি, চিরদিন জানি৩ । ভাবনা কী, নতুন রাজত্বে তোর দাদাশ্বশুরের নাম নতুন করে দেব । ১ । তা যেন দিলে, কিন্তু আমার ছাগলের মহাজন থাকে। সেইখানটাতে যাকে রাজধানী বলে জানতুম । সে লোকটার কাছে দেনাও আছে পাওনাও আছে। নইলে তারও নাম বদল করে দিলে খুশি श्फ्लभ । ২ । আচ্ছা বেশ, খুড়োরাজের রাজত্বকালের দেনািটা কুমাররাজের রাজত্বকালে মাপ করে দেওয়া tक्ति । ১ । আর পাওনটা ? S I QO Pig re qQ- PageOV ১ । পেটের তাগিদ সময় মানবে না, দাদা । তা যাই হােক, তোদের মুখের কথায় রাজধানী তৈরি হয় না তো ভাই, সেরকম চেহারা দেখছি নে ! ৩ । সবই কি চোখে দেখতে হয় । মনে-মনে দেখ। ১ । কিন্তু ছাগলের দামটা মনে-মনে পেলে আমার চলবে না। কথাটা একটু বুঝিয়ে বলো, দাদা । ৩ । তবে শোন, কুমার এলেন তীর্থ থেকে, তবু খুড়োমহারাজ সিংহাসন আঁকড়েই রইলেন । দেখলুম, টানাটানি করতে গেলে রক্তারক্তি হবে । ঠিক করেছি। এখানেই যুবরাজের রাজধানী বসিয়ে তাকে রাজা করব । আজই অভিষেক । ১ । এই আখরোটের বনে ? ২ । কোথাকার গোয়ার এটা ? রাজা যেখানেই বসবেন সিংহাসন সেইখানেই । আর তোকে যদি ইন্দ্রের আসনেও বসাই তার তলা থেকে ছাগল ডাকতে থাকবে রে । ১ । না ডাকলেও সুখ হবে না ভাই, মন কেমন করবে। কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি নে । ছিলেন এক রাজা, হলেন দুই রাজা, ভার সইবে ? এক ঘোড়ার দুই সওয়ার, লেজের দিকে লাগাম টানবে একজন, মুখের দিকে আর-একজন, জন্তুটা চলবে কোন রাস্তায় । ২। ওরে, জন্তটার চেয়ে মুশকিল হবে সওয়ারের- যিনি থাকবেন লেজের দিকে তাকে আপনিই খসে পড়তে হবে । বুঝতে পেরেছিস ? ১ । অনেকখানি বোঝা বাকি আছে। লেজের মানুষটা খসে পড়বার আগে খাজনা দেব কাকে । ৩। খাজনা দিতে হবে মহারাজ কুমারসেনকে ।