পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदीन RSS zpęga, QTA: 28313 368; করেছি-যে দান আমার, আপনহারা প্ৰাণ, আমার ਕ-6ਲ | GVAN অশোকে কিংশুকে অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে, তোমার ८ 06 মমরিয়া ওঠে আমার দুঃখরাতের গান । পূর্ণিমাসন্ধ্যায় রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায় । আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধচোখের রঙিন স্বপন -মাখা তোমার চাদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখসুখের সকল অবসান । ভরে দাও, একেবারে ভরে দাও গো, ‘প্যােলা ভর ভর লায়ী রে’। পূর্ণের উৎসবে দেওয়া আর পাওয়া, একেবারে একই কথা । কার্নার এক প্রান্তে কেবলই পাওয়া অভ্ৰভেদী শিখরের দিক থেকে, আর-এক প্রান্তে কেবলই দেওয়া অতলস্পর্শ সমুদ্রের দিকপানে। এই ধারার মাঝখানে শেষে বিচ্ছেদ নেই। অন্তহীন পাওয়া আর অন্তহীন দেওয়ার নিরবচ্ছিন্ন আবর্তন এই বিশ্ব । আমাদের গানেও সেই আবৃত্তি, কেননা, গান তো আমরা শুধু কেবল গাই নে, গান-যে আমরা দিই, তাই গান আমরা পাই । গানের ডালি ভরে দে গো উষার কোলে আয় গো তোরা, আয় গো তোরা, আয় গো চলে । টাপার কলি চাপার গাছে সুরের আশায় চেয়ে আছে, কান পেতেছে নতুন পাতা গাইবি বলে। parksa soকমলাচরণ ওই বিয়াজে । ওইখানে তোর সুর ভেসে যাক, নবীনপ্ৰাণের ওই দেশে যাক, ওই যেখানে সোনার আলোর দুয়ার খোলে ৷ মধুরিমা, দেখো দেখো, চন্দ্ৰমা তিথির পর তিথি পেরিয়ে আজ তার উৎসবের তরণী পূর্ণিমার ঘাটে পৌঁছিয়ে দিয়েছে। নন্দনবিন থেকে কোমল আলোর শুভ্ৰ সুকুমার পারিজাতন্তবকে তার ডালি ভরে আনল। সেই ডালিখনিকে ঐ কোলে নিয়ে বসে আছে কোন মাধুরীর মহাশ্বেতা। রাজহংসের ডানার মতো তার লঘু মেঘের শুভ্ৰ বসনাঞ্চল ভ্ৰান্ত হয়ে পড়েছে। ঐ আকাশে, আর তার বীণার রুপের তত্তগুলিতে অলস অঙ্গুলিক্ষেপে থেকে থেকে গুজরিত হচ্ছে বেহাগের তান ।