পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 d রবীন্দ্র-রচনাবলী আজি তাই শ্যামলে শ্যামল তুমি নীলিমায় নীল । আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল । নাহি জানি, কেহ নাহি জানে তব সুর বাজে মোর গানে, কবির অন্তরে তুমি কবিNes R, Res fR, FNs 9 fr | রাজা লিখলেন চিঠি চিত্ররূপিণীর উদ্দেশে । লিখলেন কখন দিলে পর্যায়ে স্বপনে ব্যথার মালা, বরণমালা । প্ৰভাতে দেখি জেগে অরুণ মেঘে। বিদায়বাশরি বাজে অশ্রাগালা । গোপনে এসে গেলে, দেখি নাই আঁখি মেলে । আঁধারে দুঃখডোরে বাধিলে মোরে, ভূষণ পরালে বিরহবেদন-ঢালা ৷ চিঠি পীেছল রাজকন্যার হাতে । অজানার আহবানে তার মন হল উতলা । সখীদের নিয়ে বারবার করে পড়লে সেই চিঠি । দে পড়ে দে আমায় তোরা কী কথা আজ লিখেছে সে, তার দূরের বাণীর পরশমনিক লাণ্ডক আমার প্রাণে এসে । শস্যখেতের গান্ধখানি একলা ঘরে দিক সে আনি, ক্লান্তগমন পান্থ হওয়া লাগুকি আমার মুক্তকেশে । নীল আকাশের সুরটি নিয়ে বাজাক আমার বিজন মনে, ধূসর পথের উদাস বরন মেলুক আমার বাতায়নে । সূর্য-ডোবার রাঙা বেলায় ছড়াব প্রাণ রঙের খেলায়, আপন-মনে চোখের কোণে অশ্রু-আভাস উঠবে ভেসে । গান্ধারের দূত এল মাদ্ররাজধানীতে। বিবাহ-প্ৰস্তাব শুনে রাজা বললে, “আমার কন্যার দুর্লভ ভাগ্য ।” সখীরা রাজকন্যাকে গিয়ে বললে— । বাজিবে, সখী, বাঁশি বাজিবে । झमझद्माछ झgन ब्राछिद । বচন রাশি রাশি কোথা যে যাবে ভাসি, অধরে লাজহাসি সাজিবে । নয়নে আঁখিজল করিবে ছলছল, সুখবেদন মনে বাজিবে । মরমে মুরছিয়া মিলাতে চাবে হিয়া সেই চরণযুগরাজীবে । চৈত্রপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে শুভলগ্ন । সেই বিবাহরাত্রে দূরে একলা বসে রাজার বুকের মধ্যে রক্ত ঢেউ খেলিয়ে উঠল । কেবলই তার মনে হতে লাগল, লোকান্তরে কার সঙ্গে এইরকম জ্যোৎ জারাত্রে