পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫২

S362 সে যেন এক-দোলায় দুলেছিল। ভুলে-যাওয়ার কুহেলিকার ভিতর থেকে পড়েছে মনে । একটা পদ তার মনে গুজরিয়া উঠছে। “ভুলো না- ভুলো না- তুলো না- ! সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে, ফুলডোরে বাধা কুলনা । সেই স্মৃতিটুকু কাণ্ডু খনে খনে যেন জাগে মনে, ভুলো না । সেদিন বাতাসে ছিল তুমি জান আমারি মনের প্ৰিলাপ জড়ানো, আকাশে আকাশে আছিল ছড়ানো তোমার হাসির তুলনা । যেতে যেতে পথে পূর্ণিমারাতে চাদ উঠেছিল গগনে, দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে কী জানি কী মহালীগনে । এখন আমার বেলা নাহি আর, বহিব একাকী বিরহের ভার বাধিব যে রাখী পরানে তোমার সে রাখী খুলে না, খুলে না। যথালগ্নে রাজহতীর পৃষ্ঠে রত্নাসনে রাজার প্রতিনিধি হয়ে এল অরুণেশ্বরের বক্ষোবিহারিণী বীণা, রাজার অশ্রুতি আহবান সঙ্গে করে । সখীরা দুরোদ্দিষ্ট বন্ধুর আবাহনগান গাইলে (Vas Veavy es gav VTG V Cf ওগো পুরবাসী । বুকের আঁচলখনি ধুলায় ফেলে অতিনাতে মেলো গো । পথে সেচন করো গান্ধবারি, মলিন না হয় চরণ তারি, তোমার সুন্দর ওই এল জ্বারে এল গোআকুল হৃদয়খনি সম্মুখে তার ছড়িয়ে ফেলো গো । সকল ধন যে ধন্য হল হল গো, বিশ্বজনের কল্যাণে আজ ঘরের দুয়ার খোলো গো । (ST astrzrpus, চিত্ত হল পুলকমগন, তোমার নিত্য-আলো এল আরো এল গোতোমার পরানপ্ৰদীপ তুলে ধরে ওই আলোতে দেৱলো গো । অন্তঃপুরিকারী বীণাখনিকে বরণ করে নিয়ে এল বিবাহের আসরে, বন্ধুকে আহবান করে গাইলে বাজো রে বাশরি বাজো । সুন্দরী, চন্দনামাল্যে মঙ্গলসন্ধ্যায় সাজো । বুঝি মধুফাল্গুনমাসে চঞ্চল পান্থ সে আসে, মধুকর পদভরেকম্পিত চম্পক অঙ্গনে ফোটে নিকি আজো । রক্তিম অংশুক মাথে, কিংশুককঙ্কণ হাতে, মজীব্যাংকৃত পারে, সীেরভমন্থর বায়ে, বন্দনসংগীতগুজনমুখরিত arvar fÑERCu | SSSN