পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○や अौश-द्रष्नायी আধঘণ্টা প্ৰায় অতীত হয় । এলো খোপা খুলিয়া খানিকটা চুলের গুচ্ছ চারু দ্রুতবেগে আঙুলে জড়াইতে এবং খুলিতে লাগিল। অক্ৰ সংবরণ করা আর যায় না। চাকর আসিয়া কহিল, “মােঠাকরুন, বাবুর জন্যে ডাব বের করে দিতে হবে ।” চারু আঁচল হইতে ভঁড়ারের চাবি খুলিয়া কািন করিয়া চাকরের পায়ের কাছে ফেলিয়া দিলে- সে আশ্চর্য হইয়া চাবি লইয়া চলিয়া গেল । চারুর বুকের কাছ হইতে কী একটা ঠেলিয়া কণ্ঠের কাছে উঠিয়া আসিতে লাগিল । যথাসময়ে ভূপতি সহাস্যমুখে খাইতে আসিল । চারু পাখা হাতে আহারস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখিল, অমল ভূপতির সঙ্গে আসিয়াছে। চারু তাহার মুখের দিকে চাহিল না । অমল জিজ্ঞাসা করিল, “বোঠান, আমাকে ডাকছ ?” চারু কহিল, “না, এখন আর দরকার নেই ।” অমল । তা হলে আমি যাই, আমার আবার অনেক গোছাবার আছে । চারু তখন দীপ্তচক্ষে একবার অমলের মুখের দিকে চাহিল ; কহিল, “যাও ।” অমল চারুর মুখের দিকে একবার চাহিয়া চলিয়া গেল । আহারান্তে ভূপতি কিছুক্ষণ চারুর কাছে বসিয়া থাকে । আজ দেনাপাওনা-হিসাবপত্রের হাঙ্গামে ভূপতি অত্যন্ত ব্যস্ত- তাই আজ অন্তঃপুরে বেশিক্ষণ থাকিতে পরিবে না বলিয়া কিছু ক্ষুব্ধ হইয়া কহিল, “আজ আর আমি বেশিক্ষণ বসতে পারছি নে- আজ অনেক ঝংকাটি ।” চারু বলিল, “তা যাও-না ।” ভূপতি ভাবিল, চারু অভিমান করিল। বলিল, “তাই বলে যে এখনই যেতে হবে তা নয় ; একটু জিরিয়ে যেতে হবে।” বলিয়া বসিল । দেখিল চারু বিমর্ষ হইয়া আছে। ভূপতি অনুতপ্ত চিত্তে অনেকক্ষণ বসিয়া রহিল, কিন্তু কোনোমতেই কথা জমাইতে পারিল না । অনেকক্ষণ কথোপকথনের বৃথা চেষ্টা করিয়া ভূপতি কহিল, “অমল তো কাল চলে যাচ্ছে, কিছুদিন তোমার বোধ হয় খুব একলা বোধ হবে ।” চারু তাহার কোনো উত্তর না দিয়া যেন কী একটা আনিতে চট করিয়া অন্য ঘরে চলিয়া গেল । ভূপতি কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষা করিয়া বাইরে প্রস্থান করিল। চারু আজ আমলের মুখের দিকে চাহিয়া লক্ষ করিয়াছিল অমল। এই কয়দিনেই অত্যন্ত রোগ হইয়া গেছে- তাহার মুখে তরুপতার সেই স্মৃতি একেবারে নাই । ইহাতে চারু সুখও পাইল বেদনাও বোধ করিল। আসন্ন বিচ্ছেদই যে অমলকে ক্লিষ্ট করিতেছে, চারুর তাহাতে সন্দেহ রহিল না- কিন্তু তবু অমলের এমন ব্যবহার কেন । কেন সে দূরে দূরে পালাইয়া বেড়াইতেছে । বিদায়কালকে কেন সে ইচ্ছাপূর্বক এমন বিরোধত্যিক্ত করিয়া তুলিতেছে। বিছানায় শুইয়া ভাবিতে ভাবিতে সে হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া বসিল । হঠাৎ মন্দার কথা মনে পড়িল । যদি এমন হয়, অমল মন্দাকে ভালোবাসে । মন্দা চলিয়া গেছে বলিয়াই যদি আমল এমন করিয়া- ছিঃ ! আমলের মন কি এমন হইবে । এত ক্ষুদ্র ? এমন কলুষিত ? বিবাহিত রমণীর প্রতি তাহার মন যাইবে ? অসম্ভব । সন্দেহকে একান্ত চেষ্টায় দূর করিয়া দিতে চাহিল। কিন্তু সন্দেহ তাহাকে সবলে দংশন করিয়া রহিল । এমনি করিয়া বিদায়কাল আসিল । মেঘ পরিষ্কার হইল না । অমল আসিয়া কম্পিত্যকণ্ঠে কহিল, “বোঠান, আমার যাবার সময় হয়েছে । তুমি এখন থেকে দাদাকে দেখো । তার বড়ো সংকটের অবস্থা- তুমি ছাড়া তার আর সাত্মনাের কোনো পথ নেই।” অমল ভূপতির বিষয়ে স্নান ভাব দেখিয়া সন্ধান দ্বারা তাহার দুৰ্গতির কথা জানিতে পারিয়াছিল। ভূপতি যে কিরূপ নিঃশব্দে আপন দুঃখদুর্দশার সহিত একলা লড়াই করিতেছে, কাহারও কাছে সাহায্য DD BBD EB ODSDBBL BBD MDBBLL SBBD DBD SDYZBBDDBB Ms sBGDBB DBrBB হইতে দেয় নাই, ইহা সে চিন্তা করিয়া চুপ করিয়া রহিল । তার পরে সে চারুর কথা ভাবিল, নিজের