পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WeʻR Sq রবীন্দ্র-রচনাবলী রুক্ষ হাওয়ায় ধরার বুকে সূক্ষ্ম কাপন কঁপে, শুকনো পাতা ঘুর খাচ্ছে কিসের অভিশাপে । মনে হচ্ছে, ধরাতলের এই মহাশূন্যতায় আকাশ যেন কান পেতে রায় আপনি আপনি কথায় । তারি সঙ্গে মিশ খেয়ে যায় আমার চেয়ে থাকা ব্যাপ্ত করে পাণ্ডুবরন ফাকা । কোথাও কোনো শব্দ যে নাই, তারি শব্দ বাজে বক্ষোগুহার মাঝে । আকাশ যাহার একলা অতিথি শুষ্ক বালুর ভূপে স্তৱন্ধ থাকি সেই ধরণীর বৈরাগিনীর রূপে । আলমোড়া 9 og S9A “ছড়ার ছবি কবিতাগুলির রচনা সম্পর্কে সাধারণভাবে এবং বিশেষ কয়েকটি কবিতা -রচনার পশ্চাৎপট সম্পর্কে বিশেষভাবে তথ্য-সহযোগে কিছু আলোচনা করা হইয়াছে প্রচলিত ছড়ার ছবি গ্রন্থের (শ্রাবণ ১৩৭৯) গ্রন্থপরিচয়ে । "রিক্ত’ কবিতার পাঠ্য-বিবর্তন সম্বন্ধে ঐ স্থলে বিশদ বিবরণ দেওয়া হইয়াছে। প্রসঙ্গক্রমে ১৩৮৩ শ্রাবণ্য-আশ্বিনের বিশ্বভারতী পত্রিকায় মুদ্রিত ‘রবীন্দ্ররচনার বিবর্তন' (পৃ. ৭৭-৯২) প্রবন্ধেরও উল্লেখ করা যায়- একই মূল প্রেরণা হইতে “ছড়ার ছবির খেলা’ ও ‘নবজাতক’ কাব্যের ‘প্ৰবীণ ক্রমে ক্রমে কী ভাবে প্ৰসূতি, উহাতে তাহা যথাসম্ভব বিস্তারিতভাবে দেখানো হইয়াছে । প্ৰান্তিক “প্ৰান্তিক ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে প্ৰথম প্ৰকাশিত হয় । এই গ্রন্থের প্রায় সব কয়টি কবিতাই, ১৯৩৭ সেপ্টেম্বর মাসে কবির সংকটাপন্ন রোগ হইতে মুক্তিলাভের অব্যবহিত পরে রচিত হয় । ১৪, ১৫ এবং ১৬-সংখ্যক কবিতা কয়েক বৎসর পূর্কের রচনা । ১৪-সংখ্যক কবিতাটি ‘চাঁদপুর যুনিয়ন ইনস্টিটটে ত্রিসপ্ততিতম রবীন্দ্র-জন্মোৎসবে কবিগুরুর আশীৰ্বাদবাণী রূপে প্রেরিত হয় । ১৫-সংখ্যক কবিতাটি বিচিত্রার ১৩৪১ কার্তিক সংখ্যায়। "শরৎ" নামে মুদ্রিত হয় । শেষ সপ্তকের ২৩-সংখ্যক কবিতা ইহ্যর গদ্য পাঠান্তর বলা যাইতে পারে । ১৬-সংখ্যক কবিতাটি ‘শেষ সপ্তক' গ্রন্থের ৩৪-সংখ্যক কবিতার সহিত তুলনীয় । ১৩-সংখ্যক কবিতার দুইটি পূর্বপাঠ নিম্নে মুদ্রিত হইল জন্ধের দিন করেছিল দান তোমারে পরম মূল্য, পমহিমায় হলে মহীয়ান সূৰ্যতারার তুল্য । দূর আকাশের পথে যে আলোক এসেছে ধরার বক্ষে নিমেষে নিমেষে চুমি তব চোখ তোমারে বেঁধেছে। সখ্যে । দূর যুগ হতে আসে কত বাণীকালের পথের যাত্রী, সে মহাবাণীরে লয় সম্মানি তোমার দিবস রাত্রি । -थवानी, अर्थशग्रण se8०, १ २१०