পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় &ኃbምዒ Iran, all these roses in thy garden and all their lover birds have acclaimed the birthday of the poet of a far away shore and mingled their voices in a paean of rejoicing. Iran. thy brave sons have brought their priceless gifts of friendship on this birthday of the poet of a far away shore. for they have known him in their hearts as their own. Iran, crowned with a new glory by the honour from thy hand this birthday of the poet of a far away shore finds its fulfilment. And in return bind this wreath of my verse on thy forehead, and cry : Victory to Iran -বিচিত্রা । মাঘ ১৩৩৯, পৃ. ১৮-১৯ ৬৬০ পৃষ্ঠায় প্রথম ছত্রের পূর্বে যতই এখানে আমার দিন শেষ হয়ে আসছে ততই নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণ ও অভ্যাগতের ভিড় দুৰ্ভেদ্য হয়ে এল । আমার অবকাশটুকু ঘিরে সপ্তরিখীর শরবর্ষণ চলছে। প্রতিদিনের বিবরণ লিখে যাব দিনের মধ্যে এমন ফাক পাই নে। ঘটনাগুলো একটার উপর আর-একটা চাপা পড়ে পিণ্ড পাকিয়ে ভেসে চলে যায়, তাদের চেহারা মনে থাকে না । [এর মধ্যে একটি কথা স্মরণীয়। আমি মনে করেছিলুম, পারসিকের জাগরণ তাদের পলিটিকসের চার সীমানার মধ্যেই আবদ্ধ । আমি তাদের অনেককেই বলেছি, আংশিকভাবে কেবল কর্মশক্তির উদবোধনই যথেষ্ট নয়, সঙ্গে সঙ্গে পারস্যের চিরন্তন চিত্তশক্তি সৃষ্টিশক্তির জাগরণেই তার সম্পূৰ্ণ গৌরব । ইতিমধ্যে দেখলুম। এখানকার আর্টস্কুলের কাজ । যিনি তার অধ্যক্ষ তিনি যথার্থ গুণী । পারসিকের স্বভাবসিদ্ধ অসামান্য কারুপ্রতিভাকে জাগিয়ে তোলবার সাধনায় তিনি নিযুক্ত, বিদেশের অনুকরণে নয়, স্বদেশের প্রেরণায় । তার বিদ্যালয়ের তাতের কাজের যে নমুনা কয়টি তিনি আমাকে দিয়েছেন সেগুলিকে আমি বহুমূল্য বলে মনে করি ।] এখানকার ধারা মনীষী তাদের মননশক্তির স্বকীয় বিশেষত্ব এবং আধুনিক যুগের সঙ্গে তার ংগতি সম্বন্ধে কোনো ধারণা করবার উপায় আমার নেই, কারণ ঐদের ভাষা আমি জানি নে । তার উদভাবনা হয়তো কোথাও না কোথাও দেখা দিয়েছে, হয়তো চিন্তা ও রচনার কাজ আরম্ভ হয়ে থাকবে । এ কথা মনে রাখতে হবে, কিছুকাল পূর্বে বাংলাদেশে যখন রামমোহন রায়ের আবির্ভাব সেই সময়ে পারস্যে বাহাই-ধর্মমত প্ৰাণান্তিক উৎপীড়নের মধ্যে আত্মপ্ৰকাশ করেছিল । সাম্প্রদায়িকতার অতি কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এই ধর্ম আধুনিক যুগের সর্বজনীনতার বাণী ঘোষণা করেছে। এ কখনোই সম্ভবপর হত না। যদি সম্পূর্ণভাবে এ জাতির মন সনাতনী জড়তার পাথর-চাপা মন হত । প্রাচীনকালের শাসনে রুদ্ধবুদ্ধি রুদ্ধকণ্ঠ এই দেশ বাধাবন্ধনমুক্ত হয়ে চিত্তসম্পদশালী হয়ে উঠবে তার লক্ষণ চারি দিকে যেন অনুভব করতে পারছি। আজ দশ বৎসরের মধ্যে পারস্য আচল প্রথার অন্ধতা থেকে যে এতদূর মুক্তিলাভ করেছে এবং নুতন যুগের কঠিন সমস্যাগুলি সমাধান করবার জন্যে এতটা দূর তার আধুনিক অধ্যবসায়, তার কারণ তার মন স্বভাবতই মননশীল- পারস্যের ইতিহাসে পূর্বেও তার প্রমাণ