পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কচ । দেবযানী । কচ । দেবযানী । বিদায়-অভিশাপ শূন্তগুহে!— হেথায় স্থলভ নহে হালি। যাও বন্ধু, কী হইবে মিথ্যা কাল নাশি– উৎকণ্ঠিত দেবগণ । ষেতেছ চলিয়া ? সকলি সমাপ্ত হল দু কথা বলিয়া ? দশশত বর্ষ পরে এই কি বিদায় ! দেবযানী, কী আমার অপরাধ ! হায়, স্বন্দরী অরণ্যভূমি সহস্ৰ বৎসর দিয়েছে বল্লভছায়া পল্লবমর্মর, শুনায়েছে বিহঙ্গকৃজন— তারে আজি এতই সহজে ছেড়ে যাবে ? তরুরাজি মান হয়ে আছে যেন, হেরো আজিকার বনচ্ছায়া গাঢ়তর শোকে অন্ধকার, কেঁদে ওঠে বায়ু, শুষ্ক পত্র ঝরে পড়ে, তুমি শুধু চলে যাবে সহান্ত অধরে নিশাস্তের মুখস্বপ্নসম ? দেবযানী, এ বনভূমিরে আমি মাতৃভূমি মানি, হেথা মোর নবজন্মলাভ । এর পরে নাহি মোর অনাদর, চিরপ্রতিভরে চিরদিন করিব স্মরণ । এই সেই বটতল, যেথা তুমি প্রতি দিবসেই গোধন চরাতে এসে পড়িতে ঘুমায়ে মধ্যাহ্নের খরতাপে ; ক্লান্ত তব কায়ে অতিথিবৎসল তরু দীর্ঘ ছায়াখানি দিত বিছাইয়া, মুখস্থপ্তি দিত আনি ঝঝরপল্লবদলে করিয়া বীজন মৃদুস্বরে। যেয়ে সখা, তবু কিছুক্ষণ 9२¢