পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১২

సివితీ রবীন্দ্র-রচনাবলী অবিনাশের প্রবেশ অবিনাশ। কী দাদা। এখনো বসে বসে লিখছ বুঝি ? বৈকুণ্ঠ । না না, কিছু না— এখন লিখতে যাব কেন ? ঈশানের সঙ্গে বলে বসে গল্প করছি।— ঈশেন, তুই যা, আমি যাচ্ছি। [ ঈশানের প্রস্থান অবিনাশ । দাদা, মাইনের টাকাগুলো এনেছি— এই কুড়ি টাকার পাচ কেত নোট আর পাচ-শ টাকার একখানা । বৈকুণ্ঠ। ঐ পাচ-শ টাকার খানা তুমিই রাখে না অৰু। অবিনাশ । কেন দাদা । বৈকুণ্ঠ। যদি কোনো আবশ্বক হয়— খরচপত্রঅবিনাশ । আবশ্যক হলে চেয়ে নেব—— বৈকুণ্ঠ। তবে এইখানে রাখে। তোমার হাতে টাকা দিলেও তো থাকে না। ষে অণসে তাকেই বিশ্বাস করে বস। টাকা রাখতে হলে লোক চিনতে হয় ভাই । অবিনাশ । ( হাসিয় ) সেই জন্তেই তো তোমার হাতে দিয়ে নিশ্চিস্ত হই लांलां । বৈকুণ্ঠ । অবি, হাসছিস যে ! কেন, আমাকে কেউ ঠকিয়েছে বলতে পারিস ? সেদিন সেই স্বরস্বত্রসার বই কিনলেম, তোরা নিশ্চয় মনে করেছিস ঠকেছি— কিন্তু সংগীত সম্বন্ধে অমন প্রাচীন বই আর আছে ? হীরে দিয়ে ওজন করলেও ওর দাম হয় না । তিন-শ টাকায় তো আমনি পেয়েছি। অবিনাশ । ও বই সম্বন্ধে আমি কি কিছু বলেছি ? বৈকুণ্ঠ। তাতেই তো বুঝতে পারলুম তোরা মনে করছিল বুড়ে ঠকেছে। নইলে এক বার জিজ্ঞাসা করতে হয়, এক বার নেড়েচেড়ে দেখতে হয়— թ অবিনাশ । ওর আর অাছে কী দাদা। নাড়তে চাড়তে গেলে যে গুড়িয়ে ধুলো হয়ে যাবে। বৈকুণ্ঠ। সেই তো ওর দাম । ও ধুলো কি আজকের ধুলো। ও খুলে লাখ দিয়ে মাথায় রাখতে হয় । i অবিনাশ । দাদা, এ মাসে আমাকে পচাত্তর টাকা দিতে হবে। বৈকুণ্ঠ। কেন, কী করবি ? (অবিনাশ নিরুত্তর ) — নিলেম থেকে বিলিভি গাছ কিনবি বুঝি ? ওই তোর এক গাছ-পোতা বাতিক হয়েছে। দিনরাত যত রাজ্যের