পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৬

ఏవి8 রবীন্দ্র-রচনাবলী কিন্তু ওর নাম কী, সে যে আমার শুশলী, আমার স্ত্রীর সহোদর, আমার বংশের কেউ নয়। এক বার স্বচক্ষে দেখে এলে হয় না ? বৈকুণ্ঠ । সে তো বেশ কথা, দেখে এস না অবিনাশ । অবিনাশ । দেখে আর করব কী ! ঘরের মধ্যে বাইরের লোক জানতে চাইনে— কেদার। তা এনে না। কিন্তু ওর নাম কী, বাইরের লোকের পানে এক বার তাকাতে দোষ কী— কী বলে, একবার দেখে এলে ঘরেরও ক্ষতি নেই, ওর নাম কী, বাইরেরও বিশেষ ক্ষয় হবে না। অবিনাশ । আচ্ছা, তাই হবে। এখন খেতে যাও দাদা, নীরু আমাকে পাঠিয়ে দিলে । বৈকুণ্ঠ । এই ষে কেদারবাবু এখনো— আগে ওঁর— কেদার। বিলক্ষণ ! অবিনাশ । তা, খাবার না বলে দিলে খাবার আসবে কোথা থেকে ! ঈশেনকে এক বার ডাকা যাক । কেদার। ঈশেনকে ডেকো না ভাই, ওর নাম কী, তার সঙ্গে পূর্বেই দুটােএকটা কথাবার্তা হয়ে গেছে। খাবারের চাঙারি হস্তে তিনকড়ির প্রবেশ তিনকড়ি । এই নাও — বসে যাও— আমি পরিবেশন করছি। বৈকুণ্ঠ । তুমিও বোসে না বাপু, পরিবেশনের ব্যবস্থা আমি করছি। তিনকড়ি । ব্যস্ত হবেন না মশায়, নিজে আগে খেয়ে নিয়েছি । কেদার। দূর লক্ষ্মীছাড়া পেটুক ! তিনকড়ি । ভাই, তিনকড়ের ভাগ্যে বিন্ত্রি ঢের অাছে বরাবর দেখে আসছি। জন্মাবামাত্র দুধ খাবার জন্তে কান্না ধরলুম, তার ঠিক পূর্বেই মা গেল মরে। ভাই, সবুর করতে আর সাহস হয় না। অবিনাশ । এ ছোকরাটিকে কোথায় জোগাড় করলে কেদার ? কেদার। ওর নাম কী, দেশদেশাস্তর খুজতে হয়নি, আপনি জুটেছে। এখন একে পোব কোথায়, কী বলে ভালো, তাই খুজছি। অবিনাশ। দাদা, তা হলে তুমি এখন খেতে বাও। বৈকুণ্ঠ। বিলক্ষণ ! আগে এদের হোক ।