পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసిన রবীন্দ্র-রচনাবলী রসিক। বলুন লোহাকে চালাতে চাইলেও আগুন চাই, গলাতে চাইলেও আগুন চাই । বিপিন। কী পূর্ণবাৰু, রসিকবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে ? পূর্ণ। ই৷ বিপিন। আপনার শরীর আজ ভালো আছে তো ? পূর্ণ। ই। বিপিন। অনেকক্ষণ এসেছেন না কি ? পূর্ণ। না। বিপিন। দেখেছেন ?– এবারে শীতটা ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মতো সজোরে দৌড়ে মাঘের মাঝামাঝি একেবারে খপ্‌ করে থেমে গেল। পূর্ণ। ই। ঐশ। এই-ষে পূর্ণবাৰু, গেল বারে আপনার শরীর খারাপ ছিল— এবারে বেশ ভালো বোধ হচ্ছে তো ? পূর্ণ। ই । ঐশ। এতদিন কুমারসভার যে কী একটা মহৎ অভাব ছিল আজ ঘরের মধ্যে ঢুকেই তা বুঝতে পেরেছি ; সোনার মুকুটের মাঝখানটিতে কেবল একটি হীরে বসাবার অপেক্ষ ছিল— আজ সেইটি বসানো হয়েছে, কী বলেন পূর্ণবাৰু! পূর্ণ। আপনাদের মতো এমন রচনাশক্তি আমার নেই– আমি এত বানিয়ে বানিয়ে কথা বাটতে পারি নে— বিশেষত মহিলাদের সম্বন্ধে । ঐশ। আপনার অক্ষমতার কথা শুনে দুঃখিত হলেম পূর্ণবাৰু— আশা করি ক্রমে উন্নতিলাভ করতে পারবেন। বিপিন। ( রসিককে জনাস্তিকে টানিয়া ) দুই বীরপুরুষে যুদ্ধ চলুক, এখন আস্থন রসিকবাৰু, আপনার সঙ্গে দুই একটা কথা আছে। দেখুন, সেই খাতা সম্বন্ধে জার কোনো কথা উঠেছিল ? রসিক। অপরাধ করা মানবের ধর্ম আর ক্ষমা করা দেবীর— সে কথাটা জামি রসিক। কিছু না বলে বিদ্যুতের মতো চলে গেলেন। বিপিন। চলে গেলেন ? রসিক। কিন্তু সে বিছাতে বজ ছিল না।