পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4इनबिन्नई &ab বিশ্বের হইয় ওঠে। সেই-যে স্বরট সেটা তো আমার অভিপ্রায়ের মধ্যে ছিল না। আমার পটে একটা ছবি দাগিয়াছিলাম বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে যে-একটা রঙ ফলিয়া উঠিল সেই রঙ ও সে রঙের তুলি তো আমার হাতে ছিল না।– নূতন ছন্দ অন্ধের প্রায় ভরা আনন্দে ছুটে চলে যায়, নূতন বেদন বেজে উঠে তায় নূতন রাগিণীভরে— যে কথা ভাবি নি বলি সেই কথা, যে ব্যথা বুঝি না জাগে সেই ব্যথা, জানি না এনেছি কাহার বারতা কারে শুনাবার তরে । আমি ক্ষুদ্র ব্যক্তি যখন আমার একটা ক্ষুদ্র কথা বলিবার জন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিলাম, তখন কে একজন উৎসাহ দিয়া কহিলেন, বিলো বলো, তোমার কথাটাই বলে ! ঐ কথাটার জন্যই সকলেই হা করিয়া তাকাইয়া আছে।” এই বলিয়া তিনি শ্রোতৃবর্গের দিকে চাহিয়া চোখ টিপিলেন, স্নিগ্ধ কৌতুকের সঙ্গে একটুখানি হাসিলেন, এবং আমারই কথার ভিতর দিয়া কী-সব নিজের কথা বলিয়া লইলেন – কে কেমন বোঝে অর্থ তাহার, কেহ এক বলে কেহ বলে জার, কে গে৷ তুমি, কোথা রয়েছ গোপনে, I আমি মরিতেছি খুজি । শুধু কি কবিতা লেখার একজন কর্তী কবিকে অতিক্রম করিয়া তাহার লেখনী চালনা করিয়াছেন। তাহা নহে। সেই সঙ্গে ইহাও দেখিয়াছি যে, জীবনটা ষে গঠিত হইয়া উঠিতেছে, তাহার সমস্ত সুখদুঃখ, তাহার সমস্ত যোগবিয়োগের বিচ্ছিন্নতাকে কে একজন একটি অখও তাৎপর্ধের মধ্যে গাধিয়া তুলিতেছেন। সকল সময়ে আমি তাহার আহুকুল্য করিতেছি কি না জানি না, কিন্তু আমার সমস্ত বাধাবিপত্তিকেও আমার সমস্ত ভাঙাচোরাকেও, তিনি নিয়তই গাধিৰ জুড়িয়া দাড় করাইতেছেন। কেবল তাই নয়, আমার স্বার্থ, জামার প্রবৃত্তি আমার জীবনকে ষে অর্থের মধ্যে