পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় &G 2 মজুমদার লাইব্রেরি কর্তৃক প্রকাশিত গল্পগ্রন্থাবলীর অষ্টম ভাগে গ্রন্থখানি প্রজাপতির নিবন্ধ' নামে মুজিত হয়। ১৩৩২ সালে কবিকর্তৃক পুনর্লিখিত হইয়া চিরকুমারসভা নামেই নাট্যাকারে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণটি চিরকুমারসভা নামে যথাক্রমে রচনাবলীতে মুজিত হইবে। * ভারতবর্ষ ভারতবর্ষ ১৩১২ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ‘এই গ্রন্থের সমস্ত প্রবন্ধই বঙ্গদর্শনে (নব পর্যায় ) প্রকাশিত হইয়াছিল।’ আত্মশক্তি ও ভারতবর্ষ দুইখানি গ্রন্থই ১৩১২ সালে প্রকাশিত হইলেও, এবং আখ্যাপত্রে কোন মাস তাহার নির্দেশ না থাকিলেও বঙ্গদর্শনের বিজ্ঞাপন হইতে জানা যায় যে, গ্রন্থাকারে প্রকাশের পারস্পর্ধে ভারতবর্ষ গ্রন্থই পরবর্তী । এই গ্রন্থ পরে আর প্রচলিত ছিল না, অধিকাংশ প্রবন্ধ অল্পবিস্তর পরিবর্তিত রূপে গদ্যগ্রন্থাবলীর অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হইয়াছিল— ‘নববর্ষ’ ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ ‘ব্রাহ্মণ’ ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা স্বদেশ গ্রন্থে, ‘বারোয়ারি-মঙ্গল’ চারিত্রপূজা গ্রন্থে, ‘অত্যুক্তি রাজাপ্রজা গ্রন্থে, ‘মন্দিরের কথা বিচিত্র প্রবন্ধে এবং ‘ধৰ্ম্মপদং প্রাচীন সাহিত্যে । চীনেম্যানের চিঠি’ প্রবন্ধটির প্রথমাংশ বর্জন করিয়া শেষাংশ ব্রাহ্মণ প্রবন্ধের সহিত যুক্ত করিয়া দেওয়া হয়। চীনেম্যানের চিঠি'র প্রসঙ্গে প্রচলিত পথের সঞ্চয় গ্রন্থে সংকলিত ‘ইংলণ্ডের ভাবুক সমাজ প্রবন্ধের অংশবিশেষ দ্রষ্টব্য — কেমব্রিজের কলেজ-ভবনে একজন অধ্যাপকের বাড়িতে নিমন্ত্রিত হইয়া আমি দিন দুয়েক বাস করিয়াছিলাম। ইহার নাম লোয়েস ডিকিন্সন। ইনিই জন চীনামানের পত্র’ বইখানির লেখক । সে বইখানি যখন প্রথম বাহির হয় তখন আমাদের দেশে প্রাচ্যদেশাভিমানের একটা প্রবল হাওয়া দিয়াছিল। ... সেই সময়ে এই চীনাম্যানের পজ’ বইখানি অবলম্বন করিয়া জামি এক মস্ত প্রবন্ধ লিখিয়া সভায় পাঠ করিয়াছিলাম । তখন জানিতাম, সে বইখানি সত্যই চীনাম্যানের লেখা । যিনি লেখক তাহাকে দেখিলাম, তিনি চীনামান নহেন তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু তিনি ভাবুক, অতএব তিনি সকল দেশের মাকুব । o W --তত্ববোধিনী পত্রিক, কাৰ্ভিৰ ১৩১৯ ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা ও বারোয়ারিয়াল ১৩-৮ সালে, লৰবৰ ৰাক্ষণ চীনেমানের চিঠি ভারতবর্ষের ইতিহাস ও অত্যুক্তি ১৩.৯ সালে,