পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা হে কুমার, হাস্যমুখে তোমার ধনুকে দাও টান বক্ষের পঞ্জর ভেদি অন্তরেতে হউক। কম্পিত ፥ সুতীব্র স্বনন । হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী, করহ আহবান । অপিব পরান । চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্ৰন্দন, হেরিব না দিক গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদাম পথিক । উপকণ্ঠ ভরি খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি । শুধু দিনযাপনের শুধু প্ৰাণধারণের গ্রানি লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি সূক্ষ্ম ভগ্ন-অংশ-ভাগ, কলহ সংশয় সহে না সহে না আর জীবনেরে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয় | যে পথে অনন্ত লোক চলিয়াছে ভীষণ নীরবে: সে পথপ্ৰান্তের এক পাশ্বে রাখো মোরে, নিরাখিব বিরাট স্বরূপ যুগযুগান্তের । শ্যেনসম অকস্মাৎ ছিন্ন করে উদ্ধের্বািলয়ে যাও পঙ্ককুণ্ড হতে, মহান মৃত্যুর সাথে মুখামুখি করে দাও মোরে বজের আলোতে । তার পরে ফেলে দাও, চুৰ্ণ করো, যাহা ইচ্ছা তব— ভগ্ন করো পাখা । যেখানে নিক্ষেপ কর হৃত পত্র, চ্যুত পুষ্পদল, ছিন্নভিন্ন শাখা, Nò (G&