পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S VO রবীন্দ্র-রচনাবলী সখা, সেই অতিদূর সদ্যোজাত আদি মধুমাসে তরুণ ধরায় । এনেছিলে যে কুসম ডুবাইয়া তপ্ত কিরণের স্বৰ্ণমন্দিরায়, সেই পুরাতন সেই চিরন্তন অনন্ত প্ৰবীণ নব পুষ্পরাজি সাজাইলে সাজি । তাই সে পুষ্পে লিখা জগতের প্রাচীন দিনের তাই তার গন্ধে ভাসে ক্লান্ত লুপ্ত লোকলোকাস্তের কান্ত মধুরতা । তাই আজি প্রস্ফুটিত নিবিড় নিকুঞ্জবন হতে উঠিছে উচ্ছসি। লক্ষ দিনযামিনীর যৌবনের বিচিত্ৰ বেদনা, অশ্রঞ্চ গান হাসি । যে মালা গোথেছি আজি তোমারে সঁপিতে উপহার তঁমাক অশ্রদ্ধজলে । সযত্নসেচনসিক্ত নবোম্মুক্ত এই গোলাপের রক্ত পত্রপুটে কম্পিত কুষ্ঠিত কত অগণ্য চুম্বন-ইতিহাস বহিয়াছে ফুটে । আমার বসন্তরাতে চারি চক্ষে জেগে উঠেছিল। যে-কয়টি কথা, তোমার কুসুমগুলি হে বসন্ত, সে গুপ্ত সংবাদ নিয়ে গেল কোথা ? সে চম্পক, সে বকুল, সে চঞ্চল চকিত চামেলি স্মিত শুভ্ৰমুখী, তরুণী রজনীগন্ধা আগ্রহে উৎসুক-উন্নমিতা, একান্ত কৌতুকী, কয়েক বসন্তে তারা আমার যৌবনকাব্যগাথা লয়েছিল পড়ি । কণ্ঠে কণ্ঠে থাকি তারা শুনেছিল দুটি বক্ষোমাঝে বাসনা-বাশিরি । ব্যর্থ জীবনের সেই কয়খনি পরম অধ্যায় । ওগো মধুমাস, r