পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুরঙ্গ । · 8මම් বাপ-পিতামহের ভিটায় একটা ভ্ৰষ্টা মেয়ে এমন করিয়া বাস করিবে, ইহা সহ্য করা যায় কী করিয়া ! এই পাপের মধ্যে শচীশ ঘনিষ্ঠভাবে লিপ্ত আছে এবং তার নাপ্তিক জ্যাঠা ইহাতে তাকে প্রশ্ৰয় দিতেছে, এ কথা বিশ্বাস করিতে হরিমোহনের কিছুমাত্র বিলম্ব বা দ্বিধা হইল না। বিষম উত্তেজনার সঙ্গে সে কথা তিনি সর্বত্র রটাইয়া বেড়াইতে লাগিলেন । । এই অন্যায় নিন্দা কিছুমাত্র কমে সেজন্য জগমোহন কোনো চেষ্টাই করিলেন না। তিনি বলিলেন, আমাদের নাস্তিকের ধর্মশান্ত্রে ভালো কাজের জন্য নিন্দার নরকভোগ বিধান। জনশ্রুতি যতই নূতন নূতন রঙে নূতন নূতন রূপ ধরিতে লাগিল শচীশকে লইয়া ততই তিনি উচ্চহাস্যে আনন্দ্ৰসম্ভোগ করিতে লাগিলেন। এমন কুৎসিত ব্যাপার লইয়া নিজের ভাইপের সঙ্গে এমন কাণ্ড করা হরিমােহন বা র্তার মতো অন্য কোনো ভদ্রশ্রেণীর লোক কোনোদিন শোনেন নাই । জগমোহন বাড়ির যে অংশে থাকেন, ভাগ হওয়ার পর হইতে পুরন্দর তার ছায়া মাড়ায় নাই। সে প্রতিজ্ঞা করিল, মেয়েটাকে পাড়া হইতে তাড়াইবে তবে অন্য কথা । জগমোহন যখন ইস্কুলে যাইতেন তখন তার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করিবার সকল রাস্তাই বেশ ভালো করিয়া বন্ধসন্ধ করিয়া যাইতেন এবং যখন একটুমাত্র ছুটির সুবিধা পাইতেন একবার করিয়া দেখিয়া शॉशेठ शख्रिाऊन ना | ܝ একদিন দুপুরবেলায় পুরন্দর নিজেদের দিকের ছাদের পাচিলের উপরে মই লাগাইয়া জগমোহনের कुल नया लि उन अल नन्ना अल शपूटिश नाश (शब्लारे छिन । পুৰুত্ব দিয়া সািহত কের দািয় বিশ্বরে এবং ব্লগে পাের উঠা বলি তই টে। કાશી(જે ! জাগিয়া উঠিয়া পুরন্দরকে দেখিয়া ননির মুখ একেবারে ফ্যাকাশে হইয়া গেল। সে পলাইবে কিংবা একটা কথা বলিবে এমন শক্তি তার রহিল না । পুরন্দর রাগে। কঁাপিতে কঁাপিতে ডাকিল, ননি! এমন সময় জগমোহন পশ্চাৎ হইতে ঘরে প্রবেশ করিয়া চীৎকার করিলেন, বেরো !! আমার ঘর থেকে বোরো ! পুত্র যুদ্ধ বিড়ােলর মতো ফুলিতে লাগিল। জগমােহন কহিলন, যদি না যাও আমি পুলিস পুরন্দর একবার ননির দিকে অগ্নিকটাক্ষ ফেলিয়া চলিয়া গেল। ননি মূৰ্ছিত হইয়া পড়িল । ] জগমোহন বুঝিলেন ব্যাপারটা কী। তিনি শচীশকে ডাকিয়া প্রশ্ন করিয়া বুঝিলেন, শচীশ জানিত পুরন্দরই ননিকে নষ্ট করিয়াছে; পাছে তিনি রাগ করিয়া গোলমাল করেন এইজন্য তঁকে কিছু বলে নাই। শচীশ মনে জানিত, কলিকাতা শহরে আর-কোথাও পুরন্দরের উৎপাত হইতে ননির নিস্তার নাই, একমাত্র জ্যাঠার বাড়িতে সে কখনো পারতপক্ষে পদার্পণ করিবে না। ননি একটা ভয়ের হাওয়ায় কয়দিন যেন বঁাশপাতার মতে কঁাপিতে লাগিল। তারপরে একটি মৃত সন্তান প্রসব করিল । । পুরন্দর একদিন লাথি মারিয়া ননিকে অর্ধরাত্রে বাড়ি হইতে বাহির করিয়া দিয়াছিল। তার পরে অনেক খোজ করিয়া তাহাকে পায় নাই। এমন সময়ে জ্যাঠার বাড়িতে তাহাকে দেখিয়া ঈর্ষার আগুনে তার পা হইতে মাথা পর্যন্ত জ্বলিতে লাগিল। তার মনে হইল, একে তো শচীশ নিজের ভোগের জন্য । ননিকে তার হাত হইতে ছাড়াইয়া লইয়াছে, তার পরে পুরন্দরকেই বিশেষভাবে অপমান করিবার জন্য তাহাকে একেবারে তার বাডির পাশেই রাখিয়াছে। এ তো কোনোমতেই সহ্য করিবার নয়। কথাটা হরিমোহন জানিতে পারিলেন। ইহা হরিমোহনকে জানিতে দিতে পুরন্দরের কিছুমাত্র লজ্জা ছিল না। পুরন্দরের এই সমস্ত দুস্কৃতির প্রতি তীর এক প্রকার স্নেহই ছিল। . শচীশ যে নিজের দাদা পুরন্দরের হাত হইতে এই মেয়েটাকে ছিনাইয়া লইবে, ইহা তীর কাছে বড়েই অশাস্ত্রীয় এবং অস্বাভাবিক বােধ হইল। পুরুন্দর এই অসহ্য অপমান ও অন্যায় হইতে আপন 8llՀեr