পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা। নগরীরে অন্ন বিলাবার আমি আজি লইলাম ভার ।” বিস্ময় মানিল সবে শুনি— ‘ভিক্ষুকন্যা তুমি যে ভিক্ষুণী ! কোন অহংকারে মাতি লাইলে মস্তক পাতি এ-হেন কঠিন গুরু কাজ ! কী আছে তোমার কহো আজি ।” কহিল সে নমি সবা-কাছে, “শুধু এই ভিক্ষাপাত্ৰ আছে । আমি দীনহীন মেয়ে অক্ষম। সবার চেয়ে, তাই তোমাদের পাব। দয়া—— প্রভু-আজ্ঞা হইবে বিজয়া ।

  • আমার ভাণ্ডার আছে ভরে

তোমা-সবাকার ঘরে ঘরে । তোমরা চাহিলে সবে এ পাত্ৰ অক্ষয় হবে | ভিক্ষা-অন্নে বঁাচাব বসুধামিটাইব দুর্ভিক্ষের ক্ষুধা ।” ১৭ আশ্বিন ১৩০৬ অপমান-বর ভা ওশিমালা ভক্ত কবীর সিদ্ধপুরুষ খ্যাতি রাটিয়াছে দেশে । কুটির তাহার ঘিরিয়া দাড়ালো লাখো নরনারী এসে । কেহ কহে মোর রোগ দূর করি মন্ত্র পড়িয়া দোহো', সন্তান লাগি করে কাদাকাটি বন্ধ্যা রমণী কেহ । কেহ বলে ‘তব দৈব ক্ষমতা চক্ষে দেখাও মোরে’, কেহ কয় “ভাবে আছেন বিধাতা বুঝাও প্রমাণ করে । কাদিয়া ঠাকুরে কাতর কবীর কহে দুই জোড়করে, ‘দয়া করে হরি জন্ম দিয়েছ নীচ যবনের ঘরেভেবেছিনু কেহ আসিবে না। কাছে অপাের কৃপায় তব, সবার চোখের আড়ালে কেবল তোমায় আমায় রব | একি কৌশল খেলেছ মায়াবী, বুঝি দিলে মোরে ফাকি । বিশ্বের লোক ঘরে ডেকে এনে তুমি পালাইবে নাকি ! SCA