পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 صN রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী আজি তার প্রৌঢ়কালে পাঠানতনয় জুড়িয়া বসিল আসি শূন্য সে হৃদয় গুরুজির ৷ বাজে-পোড়া বটের কোটিরে বৃক্ষ হয়ে বেড়ে বেড়ে কবে ওঠে ঠেলি, বুদ্ধ বটে ঢেকে ফেলে ডালপালা মেলি । একদা পাঠান কহে নমি গুরু-পায়, এখন আদেশ পেলে নিজ ভুজ বলে উপার্জন করি গিয়া রাজসৈন্যদলে ।” গোবিন্দ কহিলা তার পিঠে হাত রাখি, * আছে তব পৌরুষের এক শিক্ষা বাকি ৷” পরদিন বেলা গেলে গোবিন্দ একাকী

  • অস্ত্ৰ হাতে এসে মোর সাথে |” ভক্তদল

গুরু কন, “যাও সবে ফিরে ।” नृट्रे ऊ 6न्म কথা নাই ধীরগতি চলিলেন বনে নদীতীরে । পাথর-ছড়ানো উপকূলে বরষার জলধারা সহস্ৰ আঙুলে কেটে গেছে রক্তবর্ণ মাটি । সারি সারি ঠেলা ঠেলি ভিড় করে শিশু তরু দল আকাশের অংশ পেতে । নদী হাটুজল ফটিকের মতো স্বচ্ছ, চলে এক ধারে গেরুয়া বালির কিনারায় । নদী পারে ইশারা করিল গুরু ; পাঠান দাড়ালো । নিবে-আসা দিবসের দগ্ধ রাঙা আলো বাদুড়ের পাখা-সম দীর্ঘ ছায়া জুড়ি নিঃশব্দ আকাশে । গুরু কহিলা পাঠানে, ‘মামুদ, হেথায় এসো, খোড়ো এইখানে ৷” উঠিল। সে বালু খুঁড়ি একখণ্ড শিলা অঙ্কিত লোহিত রাগে । গোবিন্দ কহিলা, . “পাষাণে এই—যে রাঙা দাগ, এ তোমার আপনি বাপের রক্ত । এইখানে তার মুণ্ড ফেলেছিনু কেটে, না শুধিয়া ঝণ, না দিয়া সময় । আজ আসিয়াছে দিন,