পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী 83} * تر নিস্তন্ধের সে অাহবানে, বাহিয়া জীবনযাত্রা মম, —সিন্ধুগামী তরঙ্গিণীসম— এতকাল চলেছিস্থ তোমারি স্থদূর অভিসারে বঙ্কিম জটিল পথে স্বখে দুঃখে বন্ধুর সংসারে অনিদেশ অলক্ষ্যের পানে । কন্তু পথতরুচ্ছায়ে খেলাঘর করেছি রচনা, শেষ না হইতে খেলা চলিয়া এসেছি অন্তমনা অশেষের টানে । আজি মোর ক্লাস্তি ঘেরি দিবসের অস্তিম প্রহর গোধূলির ছায়ায় ধূসর । যেখানে দিনাস্তরবি আপন চরম নমস্কারে তোমার চরণে নত হল । যেথা রিক্ত নিঃস্ব দিব প্রাচীন ভিক্ষুর জীর্ণবেশে নূতন প্রাণের লাগি তোমার প্রাঙ্গণতলে এসে বলে “দ্বার খোলো” । দিনের আড়ালে থেকে কী চেয়েছি পাই নি উদ্দেশ, অাজ সে-সন্ধান হ’ক শেষ । হে চিরনির্মল, তব শাস্তি দিয়ে স্পর্শ করে চোখ, দৃষ্টির সম্মুখে মম এইবার নির্বারিত হ’ক অtধারের অালোকভাণ্ডার । নিয়ে যাও সেইখানে নিঃশব্দের গৃঢ় গুহ হতে যেখানে বিশ্বের কণ্ঠে নিঃসরিছে চিরন্তন স্রোতে সংগীত তোমার । দিনের সংগ্রহ হতে আজি কোন অৰ্ঘ্য নিয়ে যাই তোমার মন্দিরে ভাবি তাই । কত না শ্রেষ্ঠার হাতে পেয়েছি কীর্তির পুরস্কার, সযত্বে এসেছি বহে সেই সব রত্ন-অলংকার,