পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rebr. রবীন্দ্র-রচনাবলী ধনঞ্জয়। মাথা তুলে ৰেমনি বলতে পারৰি লাগছে না, অমনি মারের শিকড় ধাৰে কাটা । ২ । লাগছে না বলা যে শক্ত । ধনঞ্জয় । আসল মানুষটি যে, তার লাগে না, সে যে আলোর শিখা ৷ লাগে জন্তুটার, সে যে মাংস, মার খেয়ে কেঁই কেঁই করে মরে । ই করে রইলি যে ? কথাটা বুঝলি নে ? ২ । তোমাকেই আমরা বুঝি, কথা তোমার নাই বা বুঝলুম। ধনঞ্জয়। তাহলেই সর্বনাশ হয়েছে। গণেশ। কথা বুঝতে সময় লাগে, সে ভর সয় না ; তোমাকে বুঝে নিয়েছি, তাতেই সকাল-সকাল তরে যাব । ধনঞ্জয় । তার পরে বিকেল যখন হবে । তখন দেখবি কুলের কাছে তরী এসে ডুবেছে। যে কথাটা পাক, সেটাকে ভিতর থেকে পাকা করে না যদি বুঝিস তো भखदि । গণেশ । ও কথা ব’লো না, ঠাকুর । তোমার চরণাশ্রয় যখন পেয়েছি তখন ষে করে হক বুঝেছি । ধনঞ্জয় । বুঝিস নি যে তা আর বুঝতে বাকি নেই। তোদের চোখ রয়েছে রাঙিয়ে, তোদের গলা দিয়ে স্বর বেরোল না। একটু স্বর ধরিয়ে দেব ? গান আরো, আরো, প্রভু, আরো, আরো । এমনি করেই মারো, মারো । ওরে ভীতু, মার এড়াবার জন্তেই তোরা হয় মরতে নয় পালাতে থাকিস, দুটো একই কথা। দুটােতেই পশুর দলে ভেড়ায়, পশুপতির দেখা মেলে না। লুকিয়ে থাকি আমি পালিয়ে বেড়াই, ভয়ে ভয়ে কেবল তোমায় এড়াই ; যা-কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ে । দেখ বাবা, আমি মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে বোঝা-পড়া করতে চলেছি। বলতে চাই, “মার আমায় বাজে কি না তুমি নিজে বাজিয়ে নাও।” যে ডরে কিম্বা ডর দেখায় তার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে এগোতে পারব না । o এবার যা করবার তা সারে, সাaেl, আমিই হারি, কিম্বা তুমিই হার।