পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मूलथांब्रt * · ఇక আয়-একজন পথিকের প্রবেশ পখিক । হেইয়ো! . হৰবা । বাবা রে, চমকিয়ে দাও কেন ? পথিক । এখন চলো ! হৰবা। চলব বলেই তো বেরিয়েছিলুম। দলের লোককে ছাড়িয়ে চলতে গিয়ে কি রকম আচল হয়ে পড়তে হয় সেই তত্ত্বটা মনে মনে হজম করবার চেষ্টা করছি । পথিক। দলের লোক তৈরি আছে এখন তুমি গিয়ে জুটলেই হবে। স্থৰবা । কথাটা কী বললে ? আমরা তিনমোহনার লোক, আমাদের একটা বদ অভ্যেস আছে পষ্ট কথা না হলে বুঝতেই পারি নে। দলের লোক বলছ কাৰে ? পথিক । আমরা চকুয়া গায়ের লোক, পষ্ট বোঝাবার বদ অভ্যেসে হাত পাৰিয়েছি। ( ধাক্কা দিয়া ) এইবার বুঝলে তো ? হৰবা । উঃ বুঝেছি। ওর সোজা মানে হচ্ছে, আমাকে চলতেই হবে মঞ্জি থাক আর না থাক । কোথায় চলব ? এবার একটু মোলায়েম করে জবাব দিয়ে । তোমার আলাপের প্রথম ধাক্কাতেই আমার বুদ্ধি পরিষ্কার হয়ে এসেছে। পথিক । শিবতরাইয়ে যেতে হবে । হুৰা । শিবতরাইয়ে ? এই অমাবস্তারাত্রে ? সেখানে পালাটা কিসের ? পথিক । নদিলংকটের ভাঙা গড় ফিরে গাখবার পালা । হব্বা। ভাঙা গড় আমাকে দিয়ে গাথাবে ? দাদা, অন্ধকারে আমার চেহারাটা দেখতে পাচ্ছ না বলেই এত বড়ো শক্ত কথাটা বললে। আমি হচ্ছি— পথিক । তুমি যেই হও না কেন, দুখান হাত আছে তো ? হুকবা । নেহাত না থাকলে নয় বলেই আছে নইলে একে কি— পথিক । হাতের পরিচয় মুখের কথায় হয় না, যথাস্থানেই হবে, এখন ওঠে । দ্বিতীয় পথিকের প্রবেশ ২ পথিক । ওই আর-একজন লোককে পেয়েছি কঙ্কর । কঙ্কর । লোকটা কে ? ৩ । আমি কেউ না; বাবা, আমি লছমন, উত্তরভৈরবের মন্দিরে ঘণ্টা বাজাই । কঙ্কর। সে তো ভালো কথা, হাতে জোর অাছে। চলো শিবতরাই। লছমন । বাব তে, কিন্তু মন্দিরের ঘণ্ট— · i কঙ্কর । বাবা ভৈরব নিজের ঘণ্টা নিজেই বাজাবেন। وف ھ | 8 $