পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tांछिनिटकटम :د ، WÊR@@ এইজন্যই উপনিষং বারংবার বলেছেন, অন্তরাত্মাকে জানো তাহলেই অমৃতকে জানবে, তাহলেই পরমকে জানবে। তাহলে সমস্তের মাঝখানে থেকেই, সকলের মধ্যে প্রবেশ করেই, কিছু পরিভ্যাগ না করে মুক্তি পাবে-নাপ্ত পন্থা বিস্তুতে আয়নায়। ৬ ফাত্তন নিত্যধাম উপনিষং বলেছেন— জানন্দং ব্রহ্মণে বিদ্বান ন বিভেতি কদাচন। ब८कब्र बांनन्न विनि cछरनcछ्न डिनि कमांकझे ठम्न श्रृंॉन नां । সেই ব্রন্ধের আনন্দকে কোথায় দেখব, তাকে জানব কোনখানে ? অন্তরাত্মার মধ্যে। আত্মাকে একবার অন্তর-নিকেতনে, তার নিত্যনিকেতনে দেখো—যেখানে আত্মা বাহিরের হর্ষশোকের অতীত, সংসারের সমস্ত চাঞ্চল্যের অতীত, সেই নিভৃত অন্তরতম গুহার মধ্যে প্রবেশ করে দেখো—দেখতে পাবে আত্মার মধ্যে পরমাত্মার আনন্দ নিশিদিন আবিস্তৃত হয়ে রয়েছে একমুহূর্ত তার বিরাম নেই। পরমাত্মা এই জীবাত্মায় আনন্দিত। যেখানে সেই প্রেমের নিরস্তর মিলন সেইখানে প্রবেশ করো, সেইখানে তাকাও ৷ তাহলেই ব্রহ্মের আনন্দ যে কী, তা নিজের অস্তরের মধ্যেই উপলব্ধি করবে, এবং তাহলেই কোনোদিন কিছু হতেই তোমার আর ভয় থাকবে না। ভয় তোমার কোথায় ? যেখানে আধিব্যাধি জরা-মৃত্যু বিচ্ছেদ-মিলন, যেখানে আনাগোনা, যেখানে স্থখদুঃখ । আত্মাকে কেবলই যদি সেই বাহিরের সংসারেই দেখ— যদি তাকে কেবলই কার্ষ থেকে কার্ষান্তরে, বিষয় থেকে বিষয়াস্তরেই উপলব্ধি করতে থাক, তাকে বিচিত্রের সঙ্গে চঞ্চলের সঙ্গেই একেবারে জড়িত মিশ্রিত করে এক করে জান, তাহলেই তাকে নিতান্ত দীন করে মলিন করে দেখবে, তাহলেই তাকে মৃত্যুর দ্বারা বেষ্টিত দেখে কেবলই শোক করতে থাকবে, যা সত নয় স্থায়ী নয় তাকেই আত্মার সঙ্গে জড়িত করে সত্য বলে স্থায়ী বলে ভ্রম করবে এবং শেষকালে সে-সমস্ত যখন সংসারের নিয়মে খসে পড়তে থাকবে তখন মনে হবে যেন আত্মারই ক্ষয় হচ্ছে বিনাশ হচ্ছে— এমনি করে বারংবার শোকে নৈরাশ্বে দগ্ধ হতে থাকবে। সংসাৱকেই তুমি ইচ্ছা করে বড় পদ দেওয়াতে সংসার তোমার দত্ত সেই জোরে তোমার আত্মাকে পদে পদে অভিভূত পরাস্ত করে দেবে। কিন্তু আত্মাকে অস্তৱধামে নিত্যের মধ্যে ব্রন্ধের মধ্যে