পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w r

  • r. * , , t y t ... Yo
  • ና त -

i t n * s - 1 I f " . . له حي 1 * ال * هم بعد r r i l o 糖yé r i শক্তি হাতের স্বার্থকে পায়ের স্বাৰ্থ করে রেখেছে পায়ের স্বার্থকে হাতের স্বাধ করে রেখেছে । l এইটিই হচ্ছে শরীরের পক্ষে মঙ্গল । তার প্রত্যেক প্রত্যঙ্গ সমস্ত অঙ্গর্কে রক্ষা করছে, সমগ্র অঙ্গ প্রত্যেক প্রত্যঙ্গকে পালন করছে। অতএব শক্তি আয়ুরূপে শরীরকে অনাগত পরিণামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং মঙ্গলৰূপে তাকে অখণ্ড সমগ্রতায় বন্ধন করছে, ধারণ করছে । এই শক্তির প্রকাশ শুধু যে মঙ্গলে তা তো নয়, কেবল যে তার দ্বারা যন্ত্রের মতো রক্ষাকার্য চলে যাচ্ছে তা নয়, এর মধ্যে আবার একটি আনন্দ রয়েছে । আয়ুর মধ্যে আনন্দ আছে। সমগ্র শরীরের মঙ্গলের মধ্যে স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি ख्यांनमा श्रां८छ् । এই আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং আর একটি প্রেম । আমার মধ্যে যে একটি সমগ্রতা আছে তার সঙ্গে জ্ঞান আছে—সে জানছে আমি হচ্ছি আমি ; আমি হচ্ছি একটি সম্পূর্ণ আমি। শুধু জানছে নয় এই জানায় তার একটি প্রতি আছে। এই একটি সম্পূর্ণতাকে সে এত ভালোবাসে যে এর কোনো ক্ষতি সে সহ করতে পারে না । এর মঙ্গলে তার লাভ, এর সেবায় তার আনন্দ । তাহলে দেখতে পাচ্ছি, শক্তি একটি সমগ্রতাকে বঁধেছে, রাখছে এবং তাকে অহরহ একটি ভাবী সম্পূর্ণতার দিকে চালনা করে নিয়ে যাচ্ছে। তার পরে দেখতে পাচ্ছি এই যে সমগ্রতা যার মধ্যে একটি সক্রিয় শক্তি অংশ প্রত্যংশকে এক করে রয়েছে, অতীত অনাগতকে এক করে রয়েছে—সেই শক্তির মধ্যে কেবল যে মঙ্গল রয়েছে অর্থাং সত্য কেবল সমগ্র আকারে রক্ষণ পাচ্ছে ও পরিণতি লাভ করছে তা নয়, তার মধ্যে একটি আনন্দ রয়েছে। অর্থাং তার মধ্যে একটি সমগ্রতার জ্ঞান এবং সমগ্রতার প্রেম আছে । সে সমস্তকে জানে এবং সমস্তকে ভালোবাসে । যেটি আমার নিজের মধ্যে দেখছি, ঠিক এইটেই আবার সমাজের মধ্যে দেখছি। সমাজ-সত্তার ভিতরে একটি শক্তি বর্তমান, যা সমাজকে কেবলই বর্তমানে আবদ্ধ করছে না তাকে তার ভাবী পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে । শুধু তাই নয়, সমাজস্থ প্রত্যেকের স্বার্থকে সকলের স্বাৰ্থ এবং সকলের স্বার্থকে প্রত্যেকের স্বাৰ্থ করে তুলছে। কিন্তু এই ব্যক্তিগত স্বার্থকে সমষ্টিগত মঙ্গলে পরিণত করাটা যে কেবল যত্নবং জড় শাসনে ঘটে উঠছে তা নয়। এর মধ্যে প্রেম আছে। মাহুষের সঙ্গে মাহুষের মিলনে