পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(te ब्रदौटज-ब्रछनांबलौ সে হচ্ছে সেই দীক্ষাগ্রহণের বীজ। মহৰ্ষির সেই জীবনের দীক্ষা এই আশ্রমবনস্পতিতে আজ আমাদের জন্তে ফলছে এবং আমাদের আগামীকালের উত্তরবংশীয়দের জন্তে ফলতেই চলবে । বহুকাল পূর্বে কোন একদিনে মহর্ষি দীক্ষাগ্রহণ করেছিলেন, সে খবর কজন লোকই বা জানত ? ধারা জেনেছিল যারা দেখেছিল তারা মনে মনে ঠিক করেছিল এই একটি ঘটনা আজকে ঘটল এবং আজকেই এটা শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এই দীক্ষাগ্রহণ ব্যাপারটিকে সেই মুদুর কালের ৭ই পৌষ নিজের কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে নি। সেই একটি দিনের মধ্যেই একে কুলিয়ে উঠল না। সেদিন যার খবর কেউ পায় নি এবং তারপরে বহুকাল পর্যন্ত যার পরিচয় পৃথিবীর কাছে অজ্ঞাত ছিল, সেই ৭ই পৌষের দীক্ষার দিন আজ অমর হয়ে বৎসরে বৎসরে উৎসবফল প্রসব করছে । আমাদের জীবনে কত শত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু চিরপ্রাণ তো তাদের স্পর্শ করে না, তারা ঘটছে এবং মিলিয়ে যাচ্ছে তার হিসেব কোথাও থাকছে না। কিন্তু মহাপ্রাণ এসে কার জীবনের কোন মুহূর্তটিকে কখন লুকিয়ে স্পশ করে দেন, তার উপরে নিজের অদৃশু চিহ্নটি লিখে দিয়ে চলে যান, তারপরে তাকে কেউ না দেখুক না জাহক, সে হেলায় ফেলায় পড়ে থাক, তাকে আবর্জনা বলে লোকে বেটিয়ে ফেলুক, সেদিনকার এবং তারপরে বহুদিনকার ইতিহাসের পাতে তার কোনো উল্লেখ না থাকুক, কিন্তু সে রয়ে গেল। জগতের রাশি রাশি মৃত্যু ও বিশ্বতির মাঝখান থেকে সে আপনার অঙ্কুরটি নিয়ে অতি অনায়াসে মাথা তুলে ওঠে, নিত্যকালের স্বর্বালোক এবং নিত্যকালের সমীরণ তাকে পালন করবার ভার গ্রহণ করে, সদাচঞ্চল সংসারের ভয়ংকর ঠেলাঠেলিতেও তাকে আর সরিয়ে ফেলতে পারে না । মহর্ষির জীবনের একটি ৭ই পৌষকে সেই প্রাণস্বরূপ অমৃতপুরুষ একদিন নিশৰো স্পর্শ করে গিয়েছেন, তার উপরে আর মৃত্যুর অধিকার রইল না। সেই দিনটি র্তার জীবনের সমস্ত দিনকে ব্যাপ্ত করে কীরকম করে প্রকাশ পেয়েছে তা কারও অগোচর নেই। তারপরে তার দীর্ঘ জীবনের মধ্যেও সেই দিনটির শেষ হয় নি । আজও সে বেঁচে আছে—শুধু বেঁচে নেই, তার প্রাণশক্তির বিকাশ ক্রমশই প্রবলতর হয়ে উঠছে। , পৃথিবীতে আমরা অধিকাংশ লোকই প্রচ্ছন্ন হয়ে আছি আমাদের মধ্যে সেই প্রকাশ নেই, ষে-প্রকাশকে ঋষি জাহান করে বলেছেন, আবিরাবীর্ম এৰি-হে