পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q} e ब्रबैौटज-ब्रळ्नांवलौ আছে, দুরে আছে নিকটে আছে, গোচরে আছে অগোচরে আছে সমস্তের প্রতিই বাধাহীন হিংসাহীন শক্রতাহীন অপরিমিত মানস এবং মৈত্রী রক্ষা করবে। যখন দাড়িয়ে আছ বা চলছ, বলে আছ বা শুয়ে আছে, ষে পর্যন্ত না নিজ আসে সে পর্যন্ত এই প্রকার স্মৃত্তিতে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকাকেই বলে ব্রহ্মবিহার। অর্থাৎ ব্রহ্মের যে ভাব সেই ভাবটির মধ্যে প্রবেশ করাই হচ্ছে ব্রহ্মবিহার। ব্রহ্মের সেই ভাবটি কী ? 譬 যশ্চায়মস্মিয়াকাশে তেজোময়োহমৃতময়ঃ পুরুষঃ সৰ্বাস্থভূ, যে তেজোময় অমৃতময় পুরুষ সর্বানুস্থ হয়ে আছেন তিনিই ব্রহ্ম। সর্বাস্থভূ, অর্থাৎ সমস্তই তিনি অনুভব করছেন এই তার ভাব। তিনি যে কেবল সমস্তর মধ্যে ব্যাপ্ত তা নয়, সমস্তই তার অনুভূতির মধ্যে। শিশুকে মা যে বেষ্টন করে থাকেন সে কেবল তার বাহু দিয়ে তার শরীর দিয়ে নয় তার অনুভূতি দিয়ে । সেইটিই হচ্ছে মাতার ভাব, সেই তার মাতৃত্ব। শিশুকে মা আদ্যোপান্ত অত্যন্ত প্রগাঢ়ক্সপে অনুভব করেন । তেমনি সেই অমৃতময় পুরুষের অনুভূতি সমস্ত আকাশকে পূর্ণ করে সমস্ত জগৎকে সর্বত্র নিরতিশয় আচ্ছন্ন করে আছে । সমস্ত শরীরে মনে আমরা তার অনুভূতির মধ্যে মগ্ন হয়ে রয়েছি। অনুভূতি, অনুভূতি—র্তার অনুভূতির ভিতর দিয়ে বহু যোজন ক্রোশ দূর হতে স্বর্য পৃথিবীকে টানছে, তারই অনুভূতির মধ্য দিয়ে আলোকতরঙ্গ লোক হতে লোকাস্তরে তরঙ্গিত হয়ে চলেছে । আকাশে কোথাও তার বিচ্ছেদ নেই, কালে কোথাও তার বিরাম নেই। শুধু আকাশে নয়—ষশ্চায়মস্মিন্নাত্মনি তেজোময়োহশ্বতময় পুরুষঃ সৰ্বাহভূঃ– এই আত্মাতেও তিনি সর্বানুভূ। যে আকাশ ব্যাপ্তির রাজ্য সেখানেও তিনি সর্বাচুভূ, যে আত্মা সমাপ্তির রাজ্য সেখানেও তিনি সর্বানুভূ । তাহলেই দেখা যাচ্ছে যদি সেই সর্বাহুভূকে পেতে চাই তাহলে অনুভূতির সঙ্গে অনুভূতি মেলাতে হবে । বস্তুত মানুষের যতই উন্নতি হচ্ছে ততই তার এই অনুভূতির বিস্তার ঘটছে। তার কাব্য দর্শন বিজ্ঞান কলাবিদ্যা ধর্ম সমস্তই কেবল মানুষের অনুভূতিকে বৃহৎ হতে বৃহত্তর করে তুলছে । এমনি করে অকুস্থ হয়েই মানুষ বড়ো হয়ে উঠছে প্রভু হয়ে নয়। মানুষ যতই অনুভূ হবে প্রভুত্বের বাসনা ততই তার খর্ব হতে থাকবে। জায়গা জুড়ে থেকে মানুষ অধিকার করে না, বাহিরের ব্যবহারের দ্বারাও মানুষের অধিকার নয়—যে পর্যন্ত মানুষের অনুভূতি সেই পর্যন্তই সে সত্য, সেই oপর্যন্তই তার অধিকার । o ভারতবর্ষ এই সাধনার পরেই সকলের চেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল এই বিশ্ববোধ