পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

øÉချဲ†ရဲခွဲ এই আশ্রমের গুরুর অনুজ্ঞায় ও আপনাদের অনুমতিতে আমাকে যে সভাপতির ভার দেওয়া হল তাহা আমি শিরোধার্য করে নিচ্ছি। আমি এ ভারের সম্পূর্ণ অযোগ্য। কিন্তু আজকের এই প্রতিষ্ঠান বিপুল ও বহুযুগব্যাপী। তাই ব্যক্তিগত বিনয় পরিহার করে আমি এই অনুষ্ঠানে ব্ৰতী হলাম ; বহু বৎসর ধরে এই আশ্রমে একটা শিক্ষার কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই ধরনের এডুকেশনাল এক্সপেরিমেন্ট দেশে খুব বিরল। এই দেশ তো আশ্রম-সংঘ-বিহারের দেশ। কোথাও কোথাও গুরুকুল'-এর মতো দু-একটা এমনি বিদ্যালয় থাকলেও, এটি এক নূতন ভাবে অনুপ্রাণিত। এর স্থান আর কিছুতেই পূর্ণ হতে পারে না। এখানে খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির ক্রোড়ে মেঘরৌদ্রবৃষ্টিবাতাসে বালকবালিকারা ললিতাপালিত হচ্ছে । এখানে শুধু বহিরঙ্গ-প্রকৃতির আর্কিভাব নয়, কলাসৃষ্টির দ্বারা অন্তরঙ্গ-প্রকৃতিও পারিপার্থিক অবস্থায় জেগে উঠেছে । এখানকার বালকবালিকার এক-পরিবারভুক্ত হয়ে আচার্যদের মধ্যে রয়েছে। একজন বিশ্বপ্ৰাণ পার্সনালিটি এখানে সর্বদাই এর মধ্যে জাগ্রত রয়েছেন । এমনিভাবে এই বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে । আজ সেই ভিত্তির প্রসার ও পূর্ণাঙ্গতা সাধন হতে চলল। আজ এখানে বিশ্বভারতীর অভু্যদয়ের দিন । ‘বিশ্বভারতীর কোষানুযায়িক অর্থের দ্বারা আমরা বুঝি যে, যে ‘ভারতী এতদিন অলক্ষিত হয়ে কাজ করছিলেন আজ তিনি প্রকট হলেন । কিন্তু এর মধ্যে আর-একটি ধ্বনিগত অর্থও আছে- বিশ্ব ভারতের কাছে এসে পৌঁছাবে, সেই বিশ্বকে ভারতীয় করে নিয়ে আমাদের রক্তরাগে অনুরঞ্জিত ক'রে, ভারতের মহাপ্ৰাণে অনুপ্রাণিত ক’রে আবার সেই প্রাণকে বিশ্বের কাছে উপস্থিত করব । সেই ভাবেই বিশ্বভারতীর নামের সার্থকতা আছে । একটা কথা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে । ভারতের মহাপ্ৰাণ কোনটা । যে মহাপ্ৰাণ লুপ্তপ্রায় হয়ে এসেছে তাকে ধরতে গিয়ে আমরা যদি বিশ্বের সঙ্গে কারবার স্থাপন ও আদানপ্ৰদান না করি তবে &TNTC's Stift by 2( R Each can realize himself only by helping others as a whole to realize themselves g (Nr. 05, as converse as others can realize themselves by helping each individual to realize himself es (TfR ME | Taofik আমার লক্ষ্যের পথে, যাবার পথে যেমন মধ্যবতী তেমনি আমিও তার মধ্যবর্তী ; কারণ আমাদের উভয়কে যেখানে ব্ৰহ্মা বেষ্টন করে আছেন সেখানে আমরা এক, একটি মহা ঐক্যে অন্তরঙ্গ হয়ে আছি । এ ভাবে দেখতে গেলে, বিশ্বভারতীতে ভারতের প্রাণ কী তার পরিচয় পেতে হবে, তাতে করে জগতের যে পরিচয় ঘটবে তার রূপে আত্মাকে প্রতিফলিত দেখতে পাব । আমি আজ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে কিছু বলতে চাই । আজ জগৎ জুড়ে একটি সমস্যা রয়েছে। সর্বত্রই একটা বিদ্রোহের ভাব দেখা যাচ্ছে- সে বিদ্রোহ প্রাচীন সভ্যতা, সমাজতন্ত্র, বিদ্যাবুদ্ধি, অনুষ্ঠান, সকলের বিরুদ্ধে। আমাদের আশ্রম দেবালয় প্রভৃতি যা-কিছু হয়েছিল তা যেন সব ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে । বিদ্রোহের অনল জ্বলছে, তা অর্ডার-প্রগ্রেসকে মানে না, রিফর্ম চায় না, কিছুই চায় না। যে মহাযুদ্ধ হয়ে গেল এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তার চেয়ে বড়ো যুদ্ধ চলে আসছে, গত মহাযুদ্ধ তারই একটা প্রকাশ মাত্র । এই সমস্যার পূরণ কেমন করে হবে, শান্তি কোথায় পাওয়া যাবে। সকল জাতিই এর উত্তর দেবার অধিকারী । এই সমস্যায়। ভারতের কী বলবার আছে, দেবার আছে ? আমরা এত কালের ধ্যানধারণা থেকে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। তার দ্বারা এই সমস্যা পূরণ করবার কিছু আছে কি না। যুরোপে এ সম্বন্ধে যে চেষ্টা হচ্ছে সেটা পোলিটিকাল অ্যাডুমিনিষ্ট্রেশনের দিক দিয়ে হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক ভিত্তির উপর ট্রট, কনভেনশন, পাই-এর ভিতর দিয়ে শান্তিস্থাপনের চেষ্টা হচ্ছে। এ হবে এবং হবার দরকারও আছে। দেখছি সেখানে মালটিপল অ্যালায়েন্স হয়েও হল না, বিরোধ ঘটিল। আরবিট্রেশন কোর্ট এবং হেগ কনফারেলে হল না, শেষে লীগ অব GPR-a forC II I VIR TERMITIR REPR limitation of armaments किह S8io