পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8VOS রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী হরিণ শাবক এক আছে ও গাছের তলে, সে যে আসি কত খেলা খেলিবে পথিক । দূরে সরাসীর ধারে আছে এক চারু কুঞ্জ, তোমারে লইয়া পান্থ দেখাব সে বন । কত পাখি ডালে ডালে সারাদিন গাইতেছে, কত যে হরিণ সেন্থা করিতেছে খেলা । আবার দেখাব সেই অরণ্যের নিকারিণী, পাখি এক আছে মোর সে যে কত গায় গান নাম ধোরে ডাকে মোরে “নলিনী” “নলিনী” । যা আছে আমার কিছু সব আমি দেখাইব, সব আমি শুনাইবা যত জানি গানআসিবে কি পাস্থ ওই বনের কুটীর মাঝে ?” এতেক শুনিয়া কবি চলিল কুটীরে । কি সুখে থাকিত কবি, বিজন কুটীরে সেই দিনগুলি কেটে যেত মুহুর্তের মতো— কি শান্ত সে বনভূমি, নাই লোক নাই জন, শুধু সে কুটারখানি আছে এক ধারে । তঁমাধার তরুর ছায়ে- নীরব শান্তির কোলে দিবস যেন রে সেন্থা রহিত ঘুমায়ে । আগে এক দিন কবি মুগ্ধ প্ৰকৃতির রূপে অরণ্যে অরণ্যে একা করিত ভ্ৰমণ, এখন দুজনে মিলি ভ্ৰমিয়া বেড়ায় সেথা, দুই জন প্ৰকৃতির বালক বালিকা । সুদূর কাননতলে কবিরে লইয়া যেত নলিনী, সে যেন এক বনেরি দেবতা । শ্ৰান্ত হলে পথশ্রমে ঘুমাত কবির কোলে, খেলিত বনের বায়ু কুন্তল লইয়া, ঘুমন্ত মুখের পানে চাহিয়া রহিত কবি মুখে যেন লিখা আছে আরণ্য কবিতা । “একি দেবি কলপনা, এত সুখ প্ৰণয়ে যে আগে তাহা জানিতাম না তো ! কি এক অমৃতধারা ঢেলেহু প্ৰাণের পরে হে প্ৰণয় কহিব কেমনে ? অন্য এক হৃদয়েরে হৃদয় করা গো দান, সে কি এক স্বগীয় আমোদ । এক গান গায় যদি দুইটি হৃদয়ে মিলি, দেখে যদি একই স্বপন, এক চিন্তা এক আশা এক ইচ্ছা দুজনার,