পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दन्-झुळ ঢালি ঢালি দিব গাছের তালে। পাখিরে বলিব ‘কমলা বল', ' শরীরের ছায়া দেখিব জলে! জেনেছি মানুষ কাহারে বলে। জেনেছি হৃদয় কাহারে বলে! জেনেছি রে হয় ভালোবাসিলে কেমন আগুনে হৃদয় জ্বলে! এখন আবার বেঁধেছি চুলে, বাহুতে পারেছি। সোনার বালা। কবরীর মাঝে মণির মালা! বাকলের বাস ফেলিয়াছে দূরে শত শ্বাস ফেলি। তাহার তরে, মুছেছি। কুসুম রেণুর সিঁদুরে আজো কাদে হৃদি বিষদভারে! কুসুমের হার ফুলের সিঁথিকুসুমের মালা জড়ায়ে মাথে স্মরণে কেবল রাখিনু গাথি ! এলো এলো চুলে ফিরিব বনে রুখে রুখে চুল উড়িবে বায়ে। ফুল তুলি তুলি গহনে বনে মালা গাথি গাথি পরিব গায়ে! হার রে সে দিন ভুলাই ভালো! সাধের স্বপন ভাঙিয়া গেছে! এখন মানুষে বেসেছি। ভালো, হৃদয় খুলিব মানুষ-কাছে! হাসিবর্কা দিব মানুষের তরে, মানুষের তরে বাধিব চুলেমাখিব কাজল আঁখিপাত ভ'রে, কবরীতে মণি দিব রে তুলে। মুছিনু নীরজা! নয়নের ধার, নিভালাম সখি হৃদয়জুলা! তবে সখি আয় আয় দুজনায় ফুল তুলে তুলে গাথি লো মালা! এই যে মালতী তুলিয়াছ সতি! এই যে বকুল ফুলের রাশি; জুই আর বেলে ভরেছ আঁচলে, মধুপ ঝাকিয়া পড়ছে আসি! এই হল মালা, আর না লো বালা শুই লো নীরজা! ঘাসের 'পরে। 8ԳV)