পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»8 ||७९ Ws? জানিস তো, সখি, পথের ধারেতে একটি অশোক আছে, বনলতা কত ফুলে ফুলে ভরা উঠিয়াছে সেই গাছে— সেই খানে, সখি, সেই গাছতলে বসিয়া থাকিতে হবে । সেই পথ দিয়া যাইবে তো কবি ? আয় তত্ত্বরা করে তবে । বল দিখি তোরা হল কি আমার ! যখন কবির সুমুখে থাকি একটিও কথা পারি। নে বলিতে, পারি। নে তুলিতে আনত আঁখি ! কতবার, সখি, করিয়াছি মনে পরিহাস করি কহিব কথানিদারুণ হাসি হাসিয়া হাসিয়া হৃদয়ে হৃদয়ে দিব গো ব্যথা, কৃষ্ণহীরা-সম কৃষ্ণ আঁখি-তারা তঁমাধার-আগার হতে আলো-ধারা হানিবে হেথায়, হানিবে হোথায় আকুলিয়া দশ দিশ— । মুরছিয়া তার পড়িবেক মন, যতই ঢালিব এ অধরা হতে মিষ্ট সুধাময় বিষ ! কিন্তু কি করে সে চেয়ে থাকে, সখি, না জানি নয়নে কি আছে জ্যোতি । এমন সে গান গায় ধীরে ধীরে, কথা কয়, সখি, মৃদুল আতিমুখেতে আমার কথা নাহি ফুটে, চাহিতে পারি। নে আঁখির পানে, হাসির লহরী খেলে না অধরে, নয়নে তড়িৎ নাহিক হানে ! আয় ত্বরা করে- বেলা হয়ে এল, অস্তাচলে যায় রবি, পথের ধারেতে বসি রব’ মোরা সেই পথে যাবে কৰি ! (2Wり(?