পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 R bान कवि। 5 ষষ্ঠ দৃশ্য চাদ কবি। শিবির সহস্র থাকুক কাজ, আজ একবার অমিয়ারে না দেখিলে নারিব থাকিতে। না জানি সে অভাগিনী কি করিছে আহা! হয়ত সে সহিছে দ্বিগুণ অত্যাচার। তোর দুঃখ গেনু আমি দূর করিবারে, ফেলিনু দ্বিগুণ কষ্টে অমিয়া আমার। জানিলি নে, অভাগিনী, সুখ করে বলে! শাসনের অন্ধকারে, অরণ্যবিজনে, পিতা নামে নির্যদয় শমনের কাছে দারুণ কটাক্ষে তার থারথার কঁপি দিনরাত্রি রয়েছিস ক্ৰিয়মাণ হয়ে। প্ৰভাতের ফুল তুই, দিবসের পাখিকবে এ আঁধার রাতি ফুরাইবে তোর ? ওই মুখখানি নিয়ে প্রফুল্ল নয়নে গান গাবি, খেলাইবি প্ৰশান্ত হরষে! এই যুদ্ধ শেষ হলে, অভাগিনী তোরে আনিব রে নিষ্ঠুর পিতার গ্রাস হতে। আপনার ঘরে আনি রাখিব যতনে, এতদিনকার দুঃখ দিব দূর করে। রাজপুত ক্ষত্রিয়েরে করিবি বিবাহ, ভালোবেসে দুই জনে কাটাবি জীবন। অন্ধকার অরণ্যের রুদ্ধ বাল্যকাল । দুঃস্বপ্নের মতো শুধু পড়িবেক মনে । দূতের প্রবেশ মহাশয়, এসেছে এসেছে শক্ৰগণ, তিন ক্রোশ দূরে তারা ফেলেছে শিবির। রাত্ৰিযোগে অলক্ষ্যেতে এসেছে তাহারা, সহসা প্ৰভাতে আজি পেলেম বারতা। চল। তবে-বাজাও বাজাও রণভেরী। সৈন্যগণ, অস্ত্ৰ লও, উঠাও শিবির। দুয়ারে এসেছে শত্ৰু, বিলম্ব সহে না। দাও মোরে বর্ম দাও, অশ্ব লীয়ে এসো। ত্বরা কর, বাজাও বাজাও রণভেরী। কোলাহল